পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
রতিলাল ওরাওঁয়ের প্রতিবেশী বিষ্ণু ওরাওঁ বুধবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত হাসপাতালে ছিলেন। সন্ধ্যায় হাসপাতালের তরফে বিষ্ণু ওরাওঁকে রতিলালের মৃত্যুর খবর জানানো হয়। এরপর বিষ্ণু, রতিলাল ওরাওঁয়ের বাড়িতে ফোন করেন। ময়নাগুড়িতে রতিরালের বাড়িতে কান্নার রোল ওঠে। রতিলালের তিন বোন তাঁদের স্বামীদের নিয়ে ভাইয়ের বাড়ি চলে আসেন। রাতেই ঝাড় থেকে বাঁশ কাটা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে শ্মশানে দাহ করা জন্য কাঠ পাঠানো হয়। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামী ও বেশ কয়েকজন মৃতদেহ নিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে আসেন। তাঁদের বলা হয় মৃতদেহ মর্গে রয়েছে।
মর্গের সামনে বিষ্ণু ওরাওঁ ছিলেন। তিনি বলেন, আচমকা ওয়ার্ড থেকে এক আয়া ফোন করে টাকা চান। তিনি বলেন, আপনাদের রোগীর ছুটি হয়ে গিয়েছে। আমার টাকা দিয়ে যান। আমি বলি, আমাদের রোগী তো মারা গিয়েছে। তখন আয়া জানান, না আপনাদের রোগী বেঁচে আছে, ছুটি হয়ে গিয়েছে। এরপর আমরা ওযার্ডে গিয়ে দেখি, রতিরাল ওরাওঁ দিব্যি সুস্থ হয়ে বেডে বসে আছেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, রতিলালের বেড নম্বর ছিল ৭। তারপাশে ৬ নম্বর বেডে ভর্তি ছিলেন শিলিগুড়ির মাটিগাড়ার বাসিন্দা মণীল কুজুর। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁরই মৃত্যু হয়। মণীলের মৃত্যুর খবর তাঁর পরিবারকে দিতে গিয়ে ৭ নম্বর বেডের রতিলালের পরিবারকে দেওয়া হয়। কেন এমন হল, এ প্রসঙ্গে মেডিক্যালের সুপার সঞ্জয় মল্লিক বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। ট্রমা কেয়ার সেন্টারে কর্তব্যরত নার্স ও কর্মীরা জানিয়েছেন, বুধবার রাতেই ৬ নম্বর বেডের রোগীর পরিবারকে মৃত্যুর খবর দেওয়ার জন্য বারবার ফোন করেও পাওয়া যাচ্ছিল না। বারবার ফোন করতে গিয়ে ভুল করে ৬ নম্বর বেডের পরিবর্তে ৭ নম্বর বেডের পরিবারের লোককে ফোন করা হয়। তাই ৬ নম্বর বেডের রোগীর মৃত্যুর খবর ৭ নম্বর বেডের রোগীর পরিবারকে দেওয়া হয়। তবে কেন এমনটি হল এবং ফোন ভুল করে যাওয়ার পরও তা কেন সংশোধন করা হল না, কে ওই ফোন করেছিল, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কোথাও কারও গাফিলতি চিহ্নিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।