পারিবারিক মঙ্গল অনুষ্ঠান ও পুজোপাঠে আনন্দলাভ। বন্ধু বিবাদের যোগ আছে। বিদ্যাচর্চায় উন্নতি। ... বিশদ
শ্রমিকদের ভোটব্যাঙ্ক কালচিনিতে দলের লিড যে শুধু সময়ের অপেক্ষা তার পিছনে নানা যুক্তি দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। ২০১৯ সালে লোকসভায় এই কালচিনি বিধানসভায় বিজেপির ৪৭ হাজার ভোটের লিড ছিল। ২০২১ সালের ভোটে বিজেপির বিধায়ক বিশাল লামা জিতলেও ২০১৯ সালের সেই লিড এক ধাক্কায় ২৮ হাজারে নামিয়ে আনে তৃণমূল শিবির। এরপর ত্রিস্তর পঞ্চায়েত ভোট। কালচিনির ১১টি পঞ্চায়েতের সবক’টি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতি দখল করে তৃণমূল। বিধানসভায় থাকা জেলা পরিষদের তিনটি আসনও তৃণমূলের দখলে আসে। কিন্তু পঞ্চায়েতের সাফল্য নয়, একুশের ভোটে ১৯ হাজার ভোট উদ্ধার ও পরবর্তীতে চা বাগানে উন্নয়নের নিরিখে কালচিনি বিধানসভায় এবার লিড পাওয়ার আশায় তৃণমূলের স্থানীয় ভোট ম্যানেজাররা। কালচিনি বিধানসভায় ২৩টি চা বাগান। এই বাগানগুলি পড়ছে আটটি পঞ্চায়েত এলাকায়। অর্থাৎ কালচিনিতে এবার তৃণমূল না বিজেপি কোন দল লিড পাবে, তা ঠিক করে দেবে চা শ্রমিকদের ভোট।
তৃণমূলের ভোট ম্যানেজারদের দাবি, কালচিনি বিধানসভার শহর এলাকায় খুব বেশি বুথ নেই। কালচিনি সদরে দু-তিনটি, হ্যামিল্টনগঞ্জে পাঁচটি ও সীমান্ত শহর জয়গাঁয় মাত্র তিন-চারটি বুথ রয়েছে।
তৃণমূলের কালচিনির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি তথা বর্তমানে দলের চা শ্রমিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি বীরেন্দ্র বরা ওরাওঁ বলেন, যুক্তির খাতিরে ধরে নেওয়া যাক আমরা শহর এলাকায় পিছিয়ে পড়লাম। কিন্তু চা বাগান এলাকার ভোট দিয়েই এবার কালচিনিতে আমরা লিড পেতে চলেছি। কারণ, চা বাগানে রাজ্যের উন্নয়ন ও শ্রমিকদের জন্য নানা জনমুখী প্রকল্প। ফলে কালচিনিতে আমাদের লিড কেউ রুখতে পারবে না।
গেরুয়া শিবির অবশ্য তৃণমূলের এই যুক্তি মানতে নারাজ। এলাকার বিজেপির বিধায়ক বিশাল লামা বলেন, চা শ্রমিকরা বরাবর আমাদের দলের সমর্থক। তাই এবারও তৃণমূলের কোনও অঙ্ক খাটবে না। এবারও কালচিনিতে লিড হবে আমাদের দলেরই।
এবার কালচিনিতে ভোট পড়েছে ৭৪.৮৪ শতাংশ। ভোটের দিন কালচিনিতে মহিলা চা শ্রমিকরা ঢেলে ভোট দিয়েছেন। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, মহিলা শ্রমিকদের এই দলবেধে ভোট দেওয়ার প্রবণতার পিছনে একটাই কারণ লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, জমির পাট্টা ও ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওয়া। এটাই আত্মবিশ্বাস জোগাচ্ছে এলাকার বাসিন্দা তথা তৃণমূলের চেয়ারম্যান গঙ্গাপ্রসাদ শর্মাকে। তিনি বলেন, এবার কালচিনিতে আমাদের বাক্সে শ্রমিকদের ভোট সুনামি হয়ে আছড়ে পড়বে।