সংবাদদাতা, শিলিগুড়ি: রাতের অন্ধকারে মাদকাসক্তদের দখলে চলে যাচ্ছে শিলিগুড়ি জংশন এলাকা। চলছে অসামাজিক কার্যকলাপও। সেখানে চুরি ছিনতাইয়ের মতো ঘটনা ঘটছে প্রায়ই। এ নিয়ে পুলিসের নজরদারির অভাবকে দায়ী করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এখানেই শেষ নয়। বিভিন্ন সময় পাচার হওয়া গাঁজা হাত বদলের গোপন আখড়া হয়ে উঠেছে এই এলাকা। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ১ নম্বর ওয়ার্ড কো-অর্ডিনেটর মালতী রায়। তবে সম্প্রতি এক যুবকের খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে প্রধাননগর থানা। পুলিসের দাবি, নাইট পেট্রোলিং বাড়ানো হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন সময়েও সাদা পোশাকের পুলিস নজরদারি চালাচ্ছে। স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বলেন, এই এলাকায় মদ, গাঁজার আসর বসে। অসামাজিক কাজকর্ম চলে। রাতে ওই পথে চলা দায় হয়ে পড়ে। শিলিগুড়ি পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যে পড়ে জংশন। রেলওয়ে জংশনে পিছনের দিকে ১ নম্বর প্লাটফর্ম লাগোয়া এলাকার অনেকাংশ সন্ধ্যার পর অন্ধকারে ডুবে যায়। সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়েই মাদকাসক্তরা সেখানে আখড়া গড়ে তুলেছে। স্থানীয় ও পুলিস সূত্রে খবর, ওই এলাকায় রাতের অন্ধকারে শুধু মদ-গাঁজার আসর বসে না। চলে নানা অসামাজিক কার্যকলাপ সহ চুরি, ছিনতাইয়ের ছক কষা। শহরের প্রাণকেন্দ্রে এমন একটি জায়গা নিয়ে মাথাব্যাথার কারণ হয়ে উঠেছে পুলিস মহলের।
প্রসঙ্গত, জংশন সংলগ্ন ওই এলাকার পাশেই রয়েছে সেনা বাহিনীর স্টেশন হেড কোয়ার্টার। অন্যদিকে, এখান থেকে খানিকটা দূরে শিলিগুড়ি জলপাইগুড়ি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (এসজেডিএ) অফিস সহ সরকারি, বেসরকারি বাস টার্মিনাস। তাই এই এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা প্রয়োজন বলে স্থানীয়রা দাবি তুলেছেন। শিলিগুড়ি পুলিস কমিশনারেটের ডিসিপি (ওয়েস্ট) কুনওয়ার ভূষণ সিং বলেন, ওই অঞ্চলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। আমরা সম্প্রতি বিভিন্ন মামলায় কয়েকজনকে ধরেছি। উল্লেখ্য, অক্টোবরের প্রথম দিকে ওই এলাকায় এক অজ্ঞাতপরিচয় যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই ব্যক্তির মাথা থেঁতলে খুন করা হয়। বুধবার রাতে প্রধাননগর থানার পুলিস এই ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে। ধৃত ওই যুবক নেশার টাকা জোগাড় করতেই ছিনতাইয়ের পথ বেছে নিয়েছিল।