সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে ‘বেলা চাও’ গানটি। একসময় ইতালির এই লোকসংগীত ধানখেতের মহিলা শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে গাওয়া হতো। পরে তা ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে জাতীয় সঙ্গীতে পরিণত হয়।
ডাক্তার দেখাতে বেরতেও এখন ভয় লাগছে। এতদিন ধরে ভাবছিলাম, এই বোধহয় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হল। এই বোধহয় সরকার ঘোষণা করবে, আর ভয় পাওয়ার নেই! এবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে।
প্যারিস, ২৩ মার্চ (এএফপি ও পিটিআই): বিশ্বজুড়ে যেন মৃত্যুপুরী। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। ইতিমধ্যে গোটা বিশ্বে মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১৫ হাজার। আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ। সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, রাত পর্যন্ত ১৫ হাজার ১৮৯ জনের মৃত্যু নথিবদ্ধ হয়েছে। যার সিংহভাগ ইউরোপে। সেখানে মৃতের সংখ্যা ৯ হাজার ১৯৭ জন।
ওয়াশিংটন, ২৩ মার্চ (পিটিআই): প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস নিয়ে দেরিতে তথ্য দিয়েছে চীন। তারা তথ্য গোপন করার চেষ্টা করেছে। চীনের এই মনোভাবে কিছুটা দুঃখ পেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি, ২৪ মার্চ: করোনার বিশ্ব মহামারী হওয়ার আগ্রাসন প্রতিরোধে ভারতের ভূমিকা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আজ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর মাইকেল রায়ান বলেছেন, বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জনসংখ্যার দেশ ভারতই একমাত্র পাবে বিশ্বকে পথ দেখাতে। কারণ ভারতের ভূমিকা ও দায়িত্ব আগামীদিনে কী হবে, সেটাই আপাতত সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে। রায়ান বলেছেন, ভারতের মধ্যে এই মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই করার তীব্র ক্ষমতা আছে বলে আমরা মনে করছি। কারণ এই ভারতই এক সময় দুটি মারণ রোগকে ধ্বংস করার কৃতিত্ব দেখিয়েছে। ওই দুটি সাইলেন্ট কিলার ছিল পোলিও এবং স্মল পক্স। ভারত দেখিয়ে দিয়েছে যে, এই বিপুল বড় দেশে বৃহৎ জনবসতির ঘনত্ব সত্ত্বেও তারা ওই দুই রোগকে হারাতে সমর্থ হয়েছে। সুতরাং আমাদের ভারতের প্রতি বিশেষ ভরসা ও আশা রয়েছে। কেন এমন বলছেন মাইকেল রায়ান? কারণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা মনে করছে, প্রাথমিকভাবে এশিয়া পেরিয়ে ইওরোপ ও আমেরিকার মতো দেশে তীব্র আক্রমণ চালানো করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ এখানেই থামবে না। আগামীদিনে এই ভাইরাস সেই দেশকেই টার্গেট করতে চলেছে যেখানে জনসংখ্যার পরিমাণ সবথেকে বেশি। ওই নিরিখে ভারতে আক্রমণের পরিমাণ বাড়ার আশঙ্কা। তাই ভারতকে এখন থেকে অনেক বেশি করে সতর্ক ও প্রস্তুত থাকতে হবে বলে মাইকেল রায়ান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ভারতের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভারত সরকার এই কাজটি করতে পারবে বলে আমরা মনে করছি। আর ভারতের প্রদর্শিত পথেই আমরা তাকিয়ে রয়েছি। সুতরাং আগামী দিনগুলিতে ভারতের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উল্লেখ্য, গতকালই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছিল, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ডিসেম্বর মাসে চীনে ৬৭ জন থেকে যে সংক্রমণের শুরু, সেই ভাইরাসের আগ্রাসনে আজ সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ আক্রান্ত। প্রায় ১৫ হাজারের মতো মানুষের মৃত্যু হয়েছে। প্রতিদিন একটি করে নতুন দেশ আক্রান্ত হচ্ছে। সুতরাং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, এত সহজে এই ভাইরাস বিদায় নেবে অথবা দুর্বল হয়ে যাবে বলে মনে হচ্ছে না। বস্তুত আগামীদিনে হয়তো আরও শক্তি সঞ্চয় করতে পারে। সেটাই মারাত্মক প্রবণতা হয় কিছু কিছু ভাইরাসের। বস্তুত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আশঙ্কা একবার ভারতে যদি এই করোনা ভাইরাস সামাজিক সংক্রমণের পথ পেয়ে যায়, তাহলে মৃত্যুর মিছিল শুরু হবে। তাই আপাতত সবথেকে বড় চিন্তা হল ভারতে যেন করোনা ভাইরাস স্টেজ থ্রি পর্যায়ে না পৌঁছয়। সেটা নিশ্চিত করতে যা করার ভারতকে করতেই হবে।
