কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
তদন্তকারীরা জেনেছেন, এই জঙ্গি সংগঠনের মূল ভরকেন্দ্র হায়দরাবাদ ও বেঙ্গালুরু। সেখানে সংগঠনের ‘ইন্ডিয়া চ্যাপ্টারের’ মাথারা রয়েছে। বাংলাদেশে রয়েছে সেখানকার বড় নেতারা। চাঁইরা একে অপরের মধ্যে যোগাযোগ রাখার জন্য ব্যবহার করত একটি নিজস্ব ক্রিপটিক মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম। তার নাম ‘গোরাবা’। তাদের মূল লক্ষ্য এই রাজ্যে ঝিমিয়ে পড়া জেএবি ও আনসার আল ইসলামের সদস্যদের সংগঠনে ভেড়ানো। সেজন্য সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে একাধিক পেজ তৈরি করেছে তারা। সেখান থেকে সংগঠনের প্রতি সহানুভূতিশীল ব্যক্তিদের জোগাড়ের কাজ চলছে। এই পেজের সূত্র ধরেই শাহাদতের সঙ্গে যোগাযোগ হয় হাবিবুল্লার। তদন্তে জানা যায়, তার বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ হয় অনলাইনে। এরপর তাকে একটি ক্রিপটিক প্ল্যাটফর্মে তৈরি হওয়া গ্রুপে যুক্ত করা হয়।
হাবিবুল্লাকে জেরা করে অফিসাররা জেনেছেন, তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল সদস্য জোগাড় করার। পরিকল্পনামতো সে বিভিন্ন খারিজি মাদ্রাসা ও কলেজ পড়ুয়াদের টার্গেট করে। ভুয়ো নামে একাধিক প্রোফাইল খুলে হাবিবুল্লা খুঁজে খুঁজে এখানে পড়া ছাত্রদের ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাত। যারা এই অনুরোধ গ্রহণ করত, তাদের জঙ্গি ভাবধারায় উদ্বুদ্ধ করত সে। তাদের ছোট ছোট গ্রুপে ভাগ করে অনলাইন বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে যুক্ত করে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এভাবে তৈরি করা হয়েছে একাধিক মডিউল। কারা সংগঠনে কাজ করছে, জানতে ভিডিও কলে প্রত্যেক স্লিপার সেলের সদস্যকে হাজির হতে হতো শাহাদতের মূল মাথা সালাউদ্দিনের কাছে। ধৃতের সঙ্গে দক্ষিণ ভারত ও বাংলাদেশের এই সংগঠনের মাথাদের যোগ মিলেছে বলে খবর। এই মডিউলগুলি চালানোর জন্য দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্য থেকে টাকা আসছে। ভারতে থাকা সংগঠনের মাথাদের টাকা পাঠাচ্ছে পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই। বাংলাদেশ হয়ে তা এখানে এসে পৌঁছচ্ছে। হাবিবুল্লা বেঙ্গল এসটিএফের গোয়েন্দাদের জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশ মিলিয়ে বৃহত্তর ইসলামিক রাষ্ট্র তৈরির জন্য বিপুল পরিমাণ টাকা আসছে পাকিস্তান থেকে। একইসঙ্গে, শাহাদতের সঙ্গে আল-কায়েদা এবং আইএসের মতো সংগঠনের সংস্রব আছে বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। পাশাপাশি এই জঙ্গির তিনটি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ মিলেছে। এই অ্যাকাউন্টের নথি ঘেঁটে জঙ্গি সংগঠনের টাকা লেনদেনের বিষয়টি জানার চেষ্টা চলছে।