কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
শনিবার দুপুর ২টো নাগাদ বনমন্ত্রী মাদারিহাটে পৌঁছে হলংয়ে যান। মন্ত্রীর সঙ্গে আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল সহ বনদপ্তরের শীর্ষ কর্তারা ছিলেন। দু’ঘণ্টা ধরে বনমন্ত্রী পুড়ে যাওয়া হলং বাংলো ঘুরে দেখেন। বনদপ্তরের কর্তাদের সঙ্গেও বিস্তারিত কথা বলেন। পরে মাদারিহাটে সাংবাদিক সম্মেলনে বনমন্ত্রী বলেন, বনদপ্তরের বিভাগীয় রিপোর্ট জমা পড়েছে। আমরা এখন দমকল, পুলিস ও ফরেন্সিক রিপোর্টের অপেক্ষায় আছি। এই রিপোর্ট যতক্ষণ না পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত হলং বাংলো পুড়ে যাওয়ার কারণ বলা যাবে না। হলং বাংলোর আগুন লাগার কারণ সম্পর্কিত রিপোর্ট কি প্রকাশ করা হবে? এই প্রশ্নে বনমন্ত্রী বলেন, এই রিপোর্ট নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাবে। মুখ্যমন্ত্রীই সেই রিপোর্ট প্রকাশ করবেন।
গত মঙ্গলবার রাত ৯টায় ঐতিহ্যবাহী হলং বাংলোয় আগুন লাগে। এক ঘণ্টায় বাংলোটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় হলং বাংলো নিয়ে আবেগের বন্যা চলছে। বাংলো কি পুনর্নির্মাণ হবে? এই প্রশ্নে বনমন্ত্রী বলেন, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অভিভাবক। মুখ্যমন্ত্রী যেমনটা চাইবেন, তেমনটাই হবে।
মন্ত্রী বলেন, হলং বাংলো নিয়ে সবার আবেগ আছে। ঐতিহ্যবাহী এই বাংলো আগুনে পুড়ে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি শোকাহত বনদপ্তরের কর্তা ও কর্মীরা। তাই সবার কাছে অনুরোধ, দয়া করে কেউ এনিয়ে রাজনীতি করবেন না। হলং বাংলোর ঐতিহ্যকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। বনমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হয় শর্ট সার্কিটের জেরেই কি বাংলোটিতে আগুন লেগেছে? কারণ বনদপ্তরের কর্তারাও আগাগোড়া সেই কথা বলছেন। এবিষয়ে বনমন্ত্রী বলেন, প্রাথমিক তদন্তে শর্ট সার্কিটের কারণেই আগুন লেগেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি।
বনমন্ত্রীকে বলা হয় হলং বাংলো পুড়ে যাওয়ার পর অন্তর্ঘাত ও বাংলোর রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কেউ বলছেন বাংলোর এসিতে আগুন লেগেছিল। এই প্রশ্নে বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, হলং বাংলো নিয়ে বাজার গরম করার জন্য অনেকে নানা গল্প ফাঁদছেন। আমার অনুরোধ দয়া করে কেউ বাজার গরম করবেন না। হলং রাজ্যের একটা ঐতিহ্যের নাম। একে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। রেলেও তো দুর্ঘটনা ঘটে। রেল দুর্ঘটনার গাফিলতি নিয়ে তো কেউ কিছু বলছেন না। দুর্ঘটনা তো দুর্ঘটনাই। রেলের মতো হলং বনবাংলো আগুনে পুড়ে যাওয়াও একটা দুর্ঘটনা। তাহলে হলং বাংলোর ভবিষ্যত কী? এই প্রশ্নে বনমন্ত্রী বলেন, হলং বাংলো একটা ঐতিহ্যের নাম। একটি আবেগের নাম। কত স্মৃতি জড়িত এই বাংলোকে ঘিরে। আমরা সবাই চাই, এটা বেঁচে থাকুক।