কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সাধারণত মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের শপথগ্রহণ হয় রাজভবনে। আর বিধায়কদের বিধানসভায়। কিন্তু এবার এই রীতির বাইরে যাচ্ছে রাজভবন। সবচেয়ে বড় কথা, এই প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাওয়া হচ্ছে বিধানসভাকে। বরানগর কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং ভগবানগোলা কেন্দ্র থেকে জয়ী তৃণমূলের রেয়াত হোসেন সরকারের বিধায়ক পদে শপথগ্রহণের জন্য রাজভবনকে বেছে নিয়েছেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। বিধানসভার সচিবালয়ের আধিকারিকরা বলেন, পরিষদীয় রীতিনীতি অনুযায়ী বিধায়কদের শপথবাক্য রাজ্যপাল নিজে পাঠ করাতে পারেন, অথবা তিনি বিধানসভার অধ্যক্ষ কিংবা উপাধ্যক্ষকে পাঠ করানোর অনুমতি দিতে পারেন। বরানগর থেকে জয়ী তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সল্টলেকের বাড়িতে শনিবার দুপুরে রাজভবনের চিঠি পৌঁছেছে। তিনি বলেন, ‘আমি ভরসা পাচ্ছি না রাজভবনে যেতে। চিঠিতে উল্লেখ নেই আমাকে শপথবাক্য কে পাঠ করাবেন। গোটা বিষয়টিতে ধোঁয়াশা রয়েছে।’ নবনির্বাচিত আর এক বিধায়ক রেয়াত হোসেন সরকার বললেন, ‘শনিবার বিকেল পর্যন্ত আমি রাজভবন থেকে কোনও চিঠি পাইনি। আর যতদূর জানি, বিধায়কদের শপথগ্রহণ তো বিধানসভাতেই হয়।’
শপথ অনুষ্ঠান নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজভবনের সংঘাত এর আগেও ঘটেছে। কিন্তু সাম্প্রতিককালে রাজভবনের একাধিক ঘটনা আলোড়ন ফেলে দিয়েছে গোটা দেশে। তার মধ্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগও রয়েছে। তার উপর রাজভবনে প্রবেশের ক্ষেত্রে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের উপর ‘নিষেধাজ্ঞা’ জারি করেছিল রাজভবন। সে নিয়ে তৃণমূলের ক্ষোভ এখনও স্তিমিত হয়নি। এবার সংঘাতে সংযোজন হল এই ‘বয়কট’ সিদ্ধান্তের।