গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণার পর রাজ্যের শাসক দল প্রচারপর্বে জনগণের সামনে রাখছে একটাই বার্তা, কেন তৃণমূলকে ভোট দেবেন! জোড়াফুল শিবিরের তরফে স্পষ্ট করে তার জবাবও দেওয়া হচ্ছে। বলা হচ্ছে, বিজেপি কেন্দ্রের ক্ষমতায় থেকেও কোনও সুদিন উপহার দিতে পারেনি। বরং নেমে এসেছে বঞ্চনা। ঠিক এই প্রেক্ষাপটেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার বিষয়টি আরও খোলসা করে দিলেন অভিষেক। বললেন, ‘বিজেপি আচ্ছে দিনের স্বপ্ন দেখিয়েছিল। কিন্তু এখন চা-পাতা থেকে সর্ষের তেল, ডাল থেকে রসুন— সব জিনিসের দাম বেড়েছে। মোদি সরকার জনবিরোধী হয়ে গিয়েছে। আগামীতে বিজেপি ক্ষমতায় এলে কী করবে, কেউ জানে না। বাস্তব পরিস্থিতি বুঝে বিজেপিকে বিসর্জন দিতে হবে, রক্ষা করতে হবে গণতন্ত্রকে।’ মোদি কথা না রাখলেও মমতার সরকার জনমুখী প্রকল্পের মাধ্যমে যেভাবে বাংলার মানুষের পাশে রয়েছে, সেটা দেখেই তৃণমূলকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন অভিষেক। আগামী এপ্রিল থেকেই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের বর্ধিত ভাতা পাবেন সাধারণ মানুষ। এদিন অভিষেকের আরও প্রতিশ্রুতি, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে আবাস যোজনার বাড়ির প্রথম কিস্তির টাকা বাংলার মানুষের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পৌঁছে যাবে।
সিএএ লাগুর বিষয়টি নিয়েও কেন্দ্রের তুমুল সমালোচনা করেছেন অভিষেক। বলেছেন, সিএএ আইন পাশ হল ২০১৯ সালে। আর তা কার্যকর হতে পাঁচ বছর সময় লেগে গেল? এটা জুমলা ছাড়া কী? সিএএ নোটিফিকেশন যেটা হয়েছে, সেটা আরও একটা জুমলা। নোটিফিকেশনের ৪০ পাতার মধ্যে ৩৮টিই বিভিন্ন ফর্ম। কোথায় যাবেন, কার কাছে ফর্ম জমা দেবেন, তাও বলা নেই। অসম দেখেছে এর ভয়াবহতা। বাংলা দেখল টালিগঞ্জের এক তরতাজা যুবকের আত্মহত্যার ঘটনা। এই প্রেক্ষিতেই তাঁর আর্জি, ‘জুমলার এই ফাঁদে পা দেবেন না।’