গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের বক্তব্য শুনে উচ্ছ্বসিত কাটোয়ার পানুহাটের চিরন্তন মণ্ডল, পূর্বস্থলীর ঝুনু সরকাররা। তাঁদের কথায়, ‘আমরা এদেশেই জন্মেছি। ভোটার, আধার সহ সমস্ত ধরনের পরিচয়পত্র রয়েছে। নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছি। তাহলে নাগরিকত্ব পাওয়ার জন্য আবার নতুন করে কেন শর্ত আরোপ করা হল?’ প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় সরকার সিএএ চালু করার পরই জেলায় জেলায় আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। কিছুদিন আগে এই জেলার জামালপুর, মেমারি সহ বিভিন্ন এলাকার বহু মতুয়া পরিবারে আধার কার্ড নিষ্ক্রিয়করণের চিঠি এসেছিল। সেই থেকেই তাঁরা সিঁদুরে মেঘ দেখছেন। পূর্বস্থলীর বাসিন্দা সরস্বতী সরকার বলেন, ‘নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের সদিচ্ছা থাকলে এত শর্ত আরোপ করত না। এর পিছনে তাদের অন্য উদ্দেশ্য রয়েছে। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সঙ্গে রয়েছেন। বিজেপি হাজার চেষ্টা করলেও দেশ থেকে বার করতে পারবে না।’
অভিষেক বলেন, ‘সিএএর কারণে অসমের ১২ লক্ষ হিন্দু পরিবার এনআরসির কবলে পড়েছে। ওদের ফাঁদে পা দেবেন না। কলকাতার এক তরতাজা যুবক সিএএর ভয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সিএএর নামে বিজেপি সবার কাছে কাগজ চাইছে। অথচ তারা এ রাজ্যের জন্য কত টাকা পাঠিয়েছে, তার কাগজ দেখাতে পারছে না।’ পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর, মেমারি, নাদনঘাট, কাটোয়া, পূর্বস্থলী সহ বিভিন্ন এলাকায় মতুয়া ভোটব্যাঙ্ক নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। বিজেপি লোকসভা নির্বাচনের আগে সিএএ ঘোষণা করে ফায়দা তোলার কৌশল নিয়েছে। কিন্তু সিএএ ইস্যু এখন তাদের কাছে ব্যুমেরাং হতে চলেছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। এদিনের সভায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভিড় বিজেপির কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলবে বলেই মনে করছেন অনেকে। সভা শেষে সিএএর আতঙ্ক, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে চর্চায় মশগুল হতে দেখা যায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষকে। বাড়ি ফেরার সময় ‘দিদি’র নামে তাঁরা জয়ধ্বনি দিতে থাকেন।