গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
এ নিয়ে লকেট চট্টোপাধ্যায় বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে অনেক কর্মসূচির প্রস্তাব আসছে। সব সময় স্থানীয় নেতৃত্বকে তা জানানো যাচ্ছে না, কিন্তু কর্মসূচি করতে হচ্ছে। এ নিয়ে সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়তো হয়েছে। কেউ ইস্তফা দিচ্ছেন না। সংশ্লিষ্ট নেতৃত্বের অভিমান হয়েছে। আমি কথা বলেছি। দলের অন্দরমহল সূত্রে জানা গিয়েছে, লকেটদেবী বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে না চাইলেও জেলা সভাপতি দ্রুত ওই মণ্ডল সভাপতিকে তলব করেছিলেন। তিনি তাঁর সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করেছেন। তাতে অবশ্য নেতৃত্বের মানভঞ্জন কতটা হয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকছেই। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি লকেটদেবীকে নিয়ে নানা আপত্তি তুলে চন্দননগর বিধানসভায় পোস্টার পড়েছিল। দলীয় নেতৃত্ব তখন তাকে তৃণমূলের ‘কারসাজি’ বলে দাবি করেছিল। কিন্তু দলীয় ফোরামে একজন মণ্ডল সভাপতি লিখিতভাবে একই অভিযোগ করায় বিজেপির মুখ বাঁচানোর চেষ্টা বেআব্রু হয়ে গিয়েছে। এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। অঞ্জন রাউত অবশ্য বুধবার তাঁর অভিযোগ নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, দলীয় বিষয়ে দলের অন্দরে কথা বলার সুযোগ আছে। সংবাদমাধ্যমে কিছু বলব না।
লকেটদেবীকে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রার্থী না করার দাবি তুলে হুগলি লোকসভার অনেক বিজেপি নেতা-কর্মী সরব হয়েছিলেন। দলের অন্দরমহলের ক্ষোভ বার বার পোস্টার আকারে রাস্তায় ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী লকেটদেবী বাদে একাধিক নেতাকে প্রার্থী চেয়ে দেওয়াল লিখনও হয়ে গিয়েছিল। দল অবশ্য শেষপর্যন্ত লকেটকেই প্রার্থী করে। কিন্তু প্রচার পর্বের মধ্যগগনেও যে দলের অন্দরে ক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি জ্বলছে, ভদ্রেশ্বরের নেতার অভিযোগ তা ফের প্রকাশ্যে এনে দিল।