গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
ধনেখালির বিধায়ক তথা তৃণমূলের হুগলি সাংগঠনিক জেলার চেয়ারম্যান অসীমাদেবী বলেন, সাংসদ তহবিলের টাকায় ধনেখালিতে কোনও উন্নয়নের কাজ হয়নি। কৃষিতে ধনেখালির কৃষকরা উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। অথচ সেই কৃষি ও কৃষকের উন্নতিতে কোনও পদক্ষেপ সাংসদ করেননি। আমাদের রাজ্য সরকার কৃষকদের বিমা করিয়ে দেওয়া থেকে শুরু করে একগুচ্ছ পদক্ষেপ করেছে। সবচেয়ে বড় কথা, কৃষকদের পথে বসানোর নীতি নিয়ে চলছে বিজেপি। সারা দেশের কৃষকদের ভাতে মারার চক্রান্তের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী আন্দোলন চলছে। ধনেখালির কৃষক মহল্লায় বিজেপির সেই চেহারাই আমরা তুলে ধরছি। বিজেপির হুগলি লোকসভা নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান সুবীর নাগ বলেন, সাংসদকে ধনেখালিতে কোনও প্রকল্প নিতে দেয়নি তৃণমূলী মাতব্বররা। এখন কৃষক বিরোধী বলে শোরগোল করার চেষ্টা হলে মানুষ তার জবাব ইভিএমে দেবেন। তৃণমূলীরা ধনেখালিতে সমান্তরাল প্রশাসন চালাচ্ছে, সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে। অসীমাদেবীদের একনায়কতন্ত্র, অনাচার থেকে ধনেখালিকে ‘স্বাধীন’ করাই আমাদের মূল লড়াই। সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, কৃষকদের জন্য প্রকৃত অর্থে যদি কোনও কাজ হয়ে থাকে, তবে তা বাম আমলে হয়েছে। ধনেখালির কৃষকদের জন্য বিজেপির বিদায়ী সাংসদ থেকে তৃণমূল, কেউই কোনও কাজ করেনি। কৃষকরা জানেন, তাঁদের প্রকৃত বন্ধু বামেরাই। এবারের নির্বাচনে সেই জবাব ঘাসফুল ও পদ্মশিবির পেয়ে যাবে।
হুগলি লোকসভা এলাকায় প্রায় দু’সপ্তাহের প্রচার পর্ব পেরিয়ে গিয়েছে। বাম থেকে বিজেপি, তৃণমূল জোরকদমে ময়দানে নেমে পড়েছে। ফলে, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের পালে জোর বাতাস লেগেছে। রাজনৈতিক মহল বলছে, দীর্ঘ সময় ধরে ধনেখালি বিধানসভা তৃণমূলের দখলে। সেখানে প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার স্বাভাবিক হাওয়া আছে। আবার, বামেরা ধনেখালিতে কিছুটা জমি এখনও ধরে রেখেছে। কৃষিবলয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে কৃষকবিরোধী হওয়ার অভিযোগও নাগরিক মহল্লাকে নাড়িয়ে দিচ্ছে। যদিও সেসবের বাইরে প্রচারের সাপ-লুডো খেলায় শেষ হাসি কে হাসবেন, তা নিয়েই নাগরিক মহল্লা বেশি মশগুল।