গৃহে শুভকর্মের প্রস্তুতি ও ব্যস্ততা। হস্তশিল্পীদের নৈপুণ্য ও প্রতিভার বিকাশে আয় বৃদ্ধি। বিদ্যায় উন্নতি। ... বিশদ
বনগাঁয় বিজেপির গোষ্ঠীকোন্দলের সর্বজন বিদিত। অতীতে বিজেপি নেতাদের বিরোধ বহুবার প্রকাশ্যে এসেছে। বহুদিন ধরেই রাজনৈতিক মঞ্চে বিজেপির সাংসদ শান্তনু ঠাকুর ও বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া একসঙ্গে দেখা যায়নি। তাঁদের মধ্যে তিক্ত সম্পর্কের কথা অনেকেই জানেন। শুধু সাংসদ নন, বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতির সঙ্গেও দলের বিধায়কদের সম্পর্ক ভালো নয়। জেলা সভাপতির একাধিক কর্মসূচিতে বিধায়ক বা তাঁদের অনুগামীদের দেখা যেত না। যা নিয়ে উঠতে বসতে কটাক্ষ করেছে বিজেপি বিরোধীরা। এই দ্বন্দ্বের কথা দলের শীর্ষ নেতৃত্বও জানে। একাধিকবার দলীয় নেতৃত্ব হস্তক্ষেপ করলেও তাঁদের মধ্যে দূরত্ব কমেনি। যা দলের কাছে বারে বারে অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল। সূত্রের খবর, সম্প্রতি রাজ্যের এক নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে এই কোন্দলের ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ পড়েছে। সাধারণ মানুষের দাবি, ভোট বড় বালাই। তাই ভোটের মুখে এক মঞ্চে হাজির হয়েছেন নেতারা। রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে একজোট হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছে বনগাঁর বিজেপি নেতা-কর্মীরা। সম্প্রতি বনগাঁ বাটার মোড়ে দলীয় প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের সমর্থনে সভা করে বিজেপির রিলেশন সেল। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। সেখানে শান্তনু ঠাকুরকে মালা পরিয়ে দিতে দেখা যায় বিধায়ককে। অশোক কীর্তনীয়া বলেন, আমাদের দলে কোনও কোন্দল নেই। তৃণমূল হারার ভয়ে অনেক কথা বলছে। ওদের প্রার্থীর আমও যাবে, ছালাও যাবে। পাশাপাশি বিধায়ক বলেন, বিজেপি শৃঙ্খলাপরায়ণ একটি দল। দলীয় নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে হয় আমাদের। এ বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তথা তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস বলেন, বিজেপি দলে কোনও শৃঙ্খলা নেই। গত পাঁচ বছর সাংসদ মানুষের পাশে থাকেননি। ভোটে মানুষ এর জবাব দেবে। -নিজস্ব চিত্র