কর্মে ও ব্যবসায় বাধা থাকলেও অগ্রগতি হবে। আর্থিক যোগ শুভ। ব্যয় বাড়বে। সম্পত্তি নিয়ে শরিকি ... বিশদ
পুলিস জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত শিলিগুড়ি ছাড়াও হাওড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় চেম্বার চালিয়েছে। মাস খানেক আগে সুদীপ্তবাবুর কাছে হাওড়ার বালি থেকে চিকিৎসা সংক্রান্ত একটি অভিযোগ এলে তিনি ঘটনা বুঝতে পারেন। তার জেরে তিনি গত ২৪ সেপ্টেম্বর বড়জোড়া থানায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ করেন। পুলিস বিশেষ সূত্রে খবর পেয়ে অভিযুক্তকে জলপাইগুড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে বড়জোড়ায় নিয়ে আসে। পুলিস এখনও পর্যন্ত জেরা করে জানতে পেরেছে, অভিযুক্ত সুদীপ্ত কলকাতায় একটি কলেজ থেকে বি কম পাশ করে। সে কিছুদিন তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে কাজ করেছে। তারপর সে প্রায় আট বছর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করে। সেই সময় ওষুধ সম্পর্কে তার কিছু জ্ঞান হয়। সেই জ্ঞান আর ভয়ঙ্কর সাহসকে কাজে লাগিয়ে নেমে পড়ে ডাক্তারি করতে। দু’হাতে টাকা উপায় শুরু করে। দামি বাইকের পাশাপাশি সে চার চাকা গাড়িও কিনে ফেলে। সেই গাড়িতে ডাক্তারের সিম্বল লাগিয়ে ঘুরেছে অভিযুক্ত। তবে, এর আগে ২০১৯ সালে সে শিলিগুড়িতে একবার পুলিসের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। তারপরও সুদীপ্ত ভুয়ো ডাক্তারি করার অভ্যেসটা ছাড়তে পারেনি। বাঁকুড়ার পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, অভিযুক্ত বিকম পাশ করে প্রায় আট বছর মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করছে। সেখান থেকেই সে ভুয়ো ডাক্তারিতে হাত পাকায়। শিলিগুড়িতে তার গ্রেপ্তারির বিষয়টি আমরা শুনেছি। সেখানে কী অভিযোগ ছিল, তার তথ্য জোগাড় করা হচ্ছে।পুলিসের এক আধিকারিক বলেন, অভিযুক্ত আপাতত জেরায় যেসব তথ্য জানিয়েছে, সেগুলি আমরা খতিয়ে দেখব। এর পিছনে আর কেউ আছে কি না, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সাতদিনের হেফাজতে নিয়ে সেই সব তথ্যের সত্যতা যাচাই করা হবে। এবিষয়ে চিকিৎসক সুদীপ্তবাবু বলেন, শুনেছি আগে ও মেডিক্যাল রিপ্রেজেন্টেটিভের কাজ করেছে। তাছাড়া আগে গ্রেপ্তারির ঘটনাও জানি। কিন্তু, অভিযুক্ত তার পরেও ভুয়ো ডাক্তারি চালিয়ে যাচ্ছিল। এভাবে মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ঠিক নয়। তাই থানায় অভিযোগ জানিয়েছিলাম। অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক।