নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের আমলের শেষদিকে চালু হয়েছিল ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্ট। প্রথম দিকে ছিল ১০-১২ পাতার ফর্ম। ফ্ল্যাট বা নিজের জমিতে বাড়ি, বাড়িওয়ালা হোক বা বাণিজ্যিক বাড়ির মালিক, সবক্ষেত্রেই এক ফর্ম পূরণ করতে হয়। তারপর পুরসভার সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা বিষয়ে পৃথক পৃথক ফর্ম করে। নতুন ফর্ম এক বা দু’পাতার। একেবারে ব্যক্তিগত প্রয়োজন অনুযায়ী। অর্থাত্, ফ্ল্যাটে বসবাসকারীর জন্য নির্দিষ্ট, নিজস্ব বাড়ি, ভাড়াটিয়া বা বাণিজ্যিক বাড়ি সংক্রান্ত পৃথক আবেদনপত্র। প্রত্যেক নাগরিক নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী ফর্ম পূরণ করবেন। পাশাপাশি, যে সব তথ্য পুরসভার কাছে আছে, সেই সব বিষয় ফর্মে দেওয়াই থাকবে। নতুন করে লিখতে হবে না। কিন্তু, সেখানেও মূল্যায়নের ক্ষেত্রে নানা জটিলতা রয়েছে।
তবে শুধুমাত্র আবেদনপত্রের জটিলতা নয়, সম্পত্তিকরের পরিমাণ বেড়ে যাবে, সেই কারণেও নাগরিকেরা অনীহা দেখাচ্ছেন। পুরসভা সূত্রের খবর, শহরে সম্পত্তি করদাতার মোট সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট লক্ষ। এই নানাবিধ জটিলতার কারণে তাঁদের মধ্যে মাত্র দু’লক্ষের কিছু বেশি নাগরিক ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টে অংশ নিয়েছেন। পুরসভার এক শীর্ষকর্তা বলেন, মানুষের মধ্যে অনীহা রয়েছে। ওইসঙ্গে পুরো বিষয়টি আরও সরল করা দরকার। প্রত্যেকের অভিমত, এখানে অন্তর্ভুক্ত হলে বিভিন্ন এলাকায় বাজার দর অনুযায়ী সম্পত্তি কর নির্ধারণ হবে। ফলে বর্তমানে অনেকেই যে পুরনো হারে কর দিচ্ছেন, তার বদলে নতুন হারে কর দিতে হবে। বেশি টাকা দেওয়ার আশঙ্কায় অনেকেই সাড়া দিচ্ছেন না।
পাশাপাশি, কলকাতা পুরসভা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, চালু করা হবে একটি অভ্যন্তরীণ অ্যাপ। যেসব সম্পত্তি থেকে বেশি কর পাওয়া যায়, সেগুলির ওপর আরও বেশি নজরদারি চালানোর জন্য। পুরসভার আশা, ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের জটিলতা কমলে আরও মানুষ এই বিষয়ে আগ্রহী হবেন। অভ্যন্তরীণ অ্যাপে নজরদারি চালানোর ফলেও কর আদায় বাড়বে।
বর্তমানে চলছে ওয়েভার স্কিম। কাজের চাপ রয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগে। এই চাপ কিছুটা কমলেও আগামী মাস থেকেই ইউনিট এরিয়া অ্যাসেসমেন্টের বিষয় সরল করতে উদ্যোগী হবে পুরসভা। প্রচার করতে বাড়ি বাড়ি লিফলেট বিলি করা হবে।