পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
১৮২০-তে সালেমের কালেকটার এমডি ককবার্ন প্রথমে এখানে এসে এ শহরের প্রেমে পড়েন। তিনি এখানে একটি ছোট্ট বাড়ি বানিয়ে থাকাও শুরু করেন। সেই সঙ্গে কফির চাষ করেন। মূলত তার উদ্যোগেই ইয়েরকাড শৈল শহর হিসাবে গড়ে ওঠে।
চেন্নাই থেকে ট্রেনে সালেম গিয়ে ওখান থেকে বাসে ইয়েরকাড পৌঁছনোই সব থেকে সহজ।
উটির জনকোলাহল এখানে নেই। একটু নির্জনে দু-তিনটে দিন অনায়াসেই কাটানো যায়। অলস সময় কাটানোর ফাঁকেই দেখে নেওয়া যাবে শৈলশহরের প্রধান দ্রষ্টব্য ইয়েরকাড লেক। চারপাশে গাছপালা, বাগান ও পার্কের মধ্যে হেঁটেও বেড়ানো যায়। ইচ্ছা হলে একটু লেকের জলে ভেসে বোটিংও করা যাবে। লেক দেখে চলে যাওয়া যায় কিল্লিয়ুর জলপ্রপাত দেখতে। প্রায় ৩০০ ফুট ওপর থেকে নেমে এসেছে জলধারা।
সন্ধ্যা নামলে পায়ে পায়ে চলে যান ‘লেডিস সিট’। এককাপ গরম কফি হাতে দাঁড়িয়ে দূরে আলোকোজ্জ্বল সালেম শহরকে দেখতে অসাধারণ লাগবে। লেডিস সিটের কাছেই আছে প্যাগোডা পয়েন্ট। যাকে অনেকেই বলেন জেন্টস সিট।
একদিনের অর্ধেকটাই কাটানো যায় বোটানিক্যাল গার্ডেনে। এখানেই ভারতের তৃতীয় বৃহত্তম অর্কিড হাউস। শতাধিক অর্কিডের সমারোহ। যার মধ্যে ২০টি হল একদম এক্সক্লুসিভ। অর্কিড দেখার ফাঁকেই চিনে নেওয়া যায় কুরিঞ্জি ফুল গাছ। যে গাছে ফুল ফোটে বারো বছরে একবার।
ইয়েরকাডের আবিষ্কারক সালেমের কালেক্টর ককবার্নের বাড়ি দ্য গ্র্যাঞ্জ থেকে অনায়াসেই ঘুরে আসা যায়। প্রাসাদোপম ওই বাড়ি যেতে কারও মানা নেই। প্রকৃতি আর লেক দেখার সঙ্গে একটু ধর্মে মতি দেওয়াও ভালো। সেজন্য আছে শেভারয় পাহাড় চূড়ায় দেবতা শেভারয় ও দেবী কাবেরী আম্মার মন্দির। প্রতিবছর মে মাসে স্থানীয় আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষেরা এই মন্দিরে বাৎসরিক উৎসবের আয়োজন করেন। মন্দিরে যাওয়ার পথে একঝলক বিয়ারস কেভটাও দেখে নিতে পারেন। অনেকে বলেন সুদূর অতীতে ইয়েরকাডের রাজা এই গুহার মধ্যে থাকা সুড়ঙ্গ দিয়ে পালিয়েছিলেন। সত্যি মিথ্যা যাচাই করার অবশ্য কোনও সুযোগ নেই। কারণ গুহায় নামা নিষেধ।
এত ঘোরাঘুরি করতে ইচ্ছা না হলে দু’দিন ঠান্ডায় বিশ্রাম নিয়ে আবার সালেম-চেন্নাই হয়ে ঘরে ফেরা।