কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
ধৌলিগঙ্গার উপর ব্রিজ টপকে চলে আসবেন এর বাঁ-তটে। সহজ বনপথে ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যে উঠে আসবেন রুইং গ্রামে। গ্রামের অনেকটা নীচে দুনাগিরি নালা মিশেছে ধৌলি গঙ্গার সঙ্গে। প্রথম দিনের হাঁটা এখানেই শেষ করাই শ্রেয়। রুইং গ্রাম পর্যন্ত মোটরপথ তৈরির কাজ চলেছে পুরোদমে।
দ্বিতীয় দিন রুইং গ্রাম-ছাজা-দুনাগিরি গ্রাম (৩৩৫৩ মি.)-৭ কিমি।
রুইং গ্রাম থেকে দক্ষিণ-পূর্বমুখী পথ উঠে চলেছে দুনাগিরি গাডের উজানে। ক্রমে নালাটির প্রবাহ নীচে চলে যাবে এবং সেই সঙ্গে গাছপালাও কমে যাবে। পৌঁছে যাবেন ছাজা। এরপর সবুজের আধিক্য কমে যাবে। চড়াই পথে রিজ্ ধরে, আবার কখন ঝুরো পাথরের মধ্যে দিয়ে পাহাড়ে গা বেঁয়ে উঠে চলুন। পরপর কয়েকটা স্পার পেরনোর পর দূর থেকেই দুনাগিরি গ্রামটিকে দেখতে পাবেন। কংক্রিটের পথে উঠে যাবেন প্রাচীন গ্রামটির কাছে। গ্রামটি বেশ বড়। এখান থেকে হাতি ও ঘোড়ি (৬৭২৭ মি) পর্বতচূড়া দেখা যাবে। গ্রামকে বাঁদিকে রেখে ডানপাশে পঞ্চায়েতের বিশ্রামগৃহ।
তৃতীয় দিন দুনাগিরি গ্রাম-লংতোলি-লোয়ার বেসক্যাম্প (৪০০০ মি)
গ্রাম টপকে পথ নেমেছে দুনাগিরি নালার ধারে। নদীটি পেরিয়ে এর ডানতীরে ধরে চড়াই পথ। বেশ কিছুটা চলার পর আপাত সমতল পথ। চলার পথে নদীর ওপারে ছোট ছোট ঘাসের জমি দেখতে পাবেন। এখানে বাগিনি নালা মিশেছে দক্ষিণদিক থেকে নেমে আসা দুনাগিরি নালার সঙ্গে। বাগিনি নালা ধরে দক্ষিণ-পূর্বমুখী চড়াইপথে ছোট-বড় পাথরের মধ্যে দিয়ে মোরনের মাঝে পৌঁছে যাবেন। এরই মাঝে কয়েকটা জলধারা লাফিয়ে পেরতে হবে। দেখতে পাবেন ঋষি, সাতমিনল, হরদেওল শৃঙ্গমালা। ডানপার্শ্ব গ্রাবরেখা ধরে পৌঁছে যাবেন পাথরে ঘেরা সমতল প্রান্তে। পরপর ক্যাম্পসাইট রয়েছে। উচ্চতম ক্যাম্পসাইটে থাকাই ভালো। ডানদিকে থাকবে বাগিনি হিমবাহের প্রবাহ।
চতুর্থ দিন লোয়ার বেসক্যাম্প-আপার বেসক্যাম্প (৪৩০০ মি)
পাথুরে পথে এগিয়ে চলুন ঋষি পাহাড়কে লক্ষ্য করে। বোল্ডারের পথে উঠে আসবেন ঘাসে ঢাকা পাহাড়ের ঢালে। একটি নালাকে সঙ্গী করে উপরে উঠে দেখতে পাবেন বাগিনি হিমবাহের বিস্তার। আরও এগিয়ে একটি চোর্তেনকে লক্ষ্য করে উঠে চলুন। হিমবাহটি নেমেছে পশ্চিমদিকে। চোর্তেন থেকে দেখতে পাবেন চ্যাঙব্যাঙ, কলঙ্ক, সাতমিনল, হরদেওল ও ঋষি পর্বত চূড়াগুলিকে। হিমবাহটি ক্রমে ডানদিকে বাঁক নেবে। এটি পূর্ব দুনাগিরি, কলঙ্ক ও চ্যাঙাব্যাঙ শৃঙ্গমালা অঞ্চল থেকে উত্তরদিকে নেমে এসেছে। চোর্তেনের কাছাকাছি তাঁবু টাঙিয়ে নিন। এখান থেকে এই সকল তুষারাবৃত চূড়াগুলিকে হাতের নাগালে মনে হবে।
পঞ্চম দিন থেকে ষষ্ঠ দিন আপার বেসক্যাম্প-দুনাগিরি-রুইং-জুমা
একইপথে দুনাগিরি ও রুইং গ্রাম হয়ে জুমা ফিরে আসবেন। সেদিনেই জুমা থেকে গাড়ি চেপে যোশিমঠে ফিরে আসতে পারবেন।
যোশিমঠ থেকে হরিদ্বার গাড়িপথ।
ফেরার পথে সেম খড়ক হয়ে অন্যপথে কানাড়ি খাল ও কাল্লা খাল হয়ে তিনদিনে মালারি ফিরে আসতে পারবেন। সেম খড়ক থেকে কানাড়ি খাল (৩৮৪০ মি) পেরিয়ে গড়পোক গ্রামে (৩০৬৫ মি) রাত কাটিয়ে পরদিন রুই হয়ে জুমা পৌঁছনো যাবে দুপুরের আগেই। লোয়ার বেসক্যাম্প থেকে এগিয়ে বাগিনি হিমবাহের ডান পার্শ্ব গ্রাবরেখা ধরে কঠিন পথে ঋষিকুণ্ড পৌঁছনো যাবে একদিনে।
মালবাহক ও প্রয়োজনীয় রসদ যোশিমঠ থেকে সংগ্রহ করতে হবে। নন্দাদেবী বায়োস্ফিয়ারের অন্তর্গত এই অঞ্চলে যাবার জন্য যোশিমঠ থেকে অনুমতি নিতে হবে।