উচ্চশিক্ষা বা গবেষণায় সাফল্য ও সুনাম প্রাপ্তি। অর্থভাগ্য শুভ। ব্যবসা ও পেশায় লক্ষ্মীলাভ। ... বিশদ
বড় ফুটবলার অনেকেই। কিন্তু নিজেকে ধরে রাখাটা একটা আর্ট। পরিশ্রম, অধ্যবসায়, ডেডিকেশনে সুনীল অনন্য প্যাকেজ। দীর্ঘ ১৯ বছর সাফল্যের সঙ্গে দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছে সুনীল। ফিটনেসের তুঙ্গে না থাকলে এভাবে পারফর্ম করা যায় না। মনে পড়ছে, দিল্লি থেকে সুনীলকে কলকাতায় তুলে আনে মোহন বাগান। তখনও কেউ আঁচ করতে পারেননি এই ছেলে একদিন কিংবদন্তি হয়ে উঠবে। সমালোচকদের অন্যরকম ভাবতে বাধ্য করেছে সুনীল। কীভাবে নিজেকে পরিমার্জিত করতে হয় তা ওকে দেখে শেখা উচিত। মোহন বাগানের পর লাল-হলুদ জার্সিও গায়ে চাপায় সুনীল। ২০০৮ সালের ডার্বির কথা ইস্ট বেঙ্গলে সমর্থকদের স্মৃতিতে এখনও টাটকা। ৩-০ গোলে বড় ম্যাচ জেতে লাল-হলুদ ব্রিগেড। সুভাষ ভৌমিকের কোচিংয়ে সেদিন আগুন জ্বালায় মশাল বাহিনী। রেনেডি সিংয়ের ফ্রি-কিক থেকে দু’বার জাল কাঁপায় এই অধম। তৃতীয় গোলের ক্ষেত্রে আমার মাইনাস থেকে সুনীলের লক্ষ্যভেদ। ম্যাচের আগে বেশ চাপে ছিল আমার বন্ধু। গোল না পেলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়ত। গোলের পর ওর সেলিব্রেশন দেখে বুঝতে পারি চাপ কমেছে।
অনেকেই প্রশ্ন করেন, বাইচুং না সুনীল সেরা কে? ব্যক্তিগত মত, এই তুলনা একেবারেই অর্থহীন। দু’জনের খেলার ধরন আলাদা। বাইচুং টিপিকাল স্ট্রাইকার। বক্সের মধ্যে প্রচণ্ড বিপজ্জনক। ফিফটি-ফিফটি বলেও লক্ষ্যভেদের ক্ষমতা রাখে। অন্যদিকে সুনীল উইথড্রন স্ট্রাইকারের ভূমিকাতেও চোস্ত। ডিস্ট্রিবিউশন করতে পারে। আমার সৌভাগ্য, দু’জনের সঙ্গেই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। আগামী ৬ জুন যুবভারতীতে স্টিমাচ ব্রিগেডের হয়ে শেষবার মাঠে নামবে সুনীল। সময় পেলে অবশ্যই পৌঁছে যাব মাঠে। প্রাক্তন সতীর্থ হিসাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলতে চাই, ‘বেস্ট অব লাক সুনীল ভাই।’