পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
বসিরহাটের বাড়িতেই রয়েছেন প্রাক্তন এই তারকা ফুটবলার। মেয়ের সঙ্গে সময় কাটানোর পাশাপাশি খোঁজ নিচ্ছেন গ্রামবাসীদেরও। শুক্রবার রয়েছে একাধিক কর্মসূচি। মুঠোফোনের ওপার থেকে দীপেন্দু বললেন, ‘করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের একজোট হয়ে লড়তে হবে। ফুটবল দলগত সংহতির খেলা। ঠিক তেমনই কোভিড-১৯’কে হারানোর জন্য সংঘবদ্ধতার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। পরিস্থিতি খুবই জটিল। প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, ধৈর্য ধরুন। বাড়ি থেকে বেরবেন না। অযথা আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে আমরা রাজ্যবাসীর পাশেই রয়েছি। যে কোনও প্রয়োজনে আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সাধ্যমতো চেষ্টা করব।’
বিধায়কের পাশাপাশি স্নেহশীল পিতার ভূমিকাতেও সমান দায়িত্বপূর্ণ দীপেন্দু। অবসর সময়ে মেয়েই তাঁর সঙ্গী। বললেন, ‘সারা বছর সেভাবে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। এখন সেই ঘাটতি কিছুটা হলেও পূরণ করছি। তবে এলাকার মানুষও আমার বৃহত্তর পরিবারের অংশ। তাঁদের খোঁজখবরও নিয়মিত রাখতে হচ্ছে।’
কথা বলতে বলতেই আর একটা ফোন বেজে ওঠায় সাময়িক বিরতি নিতে হল দীপেন্দুকে। তারপর যোগ করলেন, ‘লক ডাউন ঠিক কী তা এখনও বসিরহাটের মানুষের কাছে স্বচ্ছ নয়। তাই বেশ কিছু কর্মসূচির মাধ্যমে তাঁদের সচেতন করে তুলতে হবে। ইতিমধ্যেই ব্যানার, পোস্টার লাগিয়ে ফেলা হয়েছে। মাইক বাজিয়ে মানুষকে গোটা পরিস্থিতি সম্পর্কে বোঝানোর চেষ্টা চলছে। করোনার মোকাবিলায় শহরের মানুষ অনেক সচেতন। কিন্তু গ্রামের দিকে এখনও শিশুরা খেলা নিয়ে মেতে রয়েছে। তাই তাদেরকে বোঝাচ্ছি। এলাকার প্রত্যেকের কাছে অনুরোধ, ঝুঁকি নেবেন না। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য অবশ্যই কিনবেন। তবে তা একসঙ্গে নয়। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন। বারবার সাবান দিয়ে হাত-মুখ পরিস্কার রাখুন। আপনি সুস্থ থাকলেই বাকিরা সুস্থ থাকবে।’