হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
জেলাশাসক বলেন, মাতৃভূমির জন্য যে সকল স্বাধীনতা সংগ্রামী নিজেদের প্রাণ বলিদান দিয়েছেন, তাঁদের সশ্রদ্ধ প্রণাম জানাই। ভেদাভেদ ভুলে এই দিনকে সামনে রেখে দেশ ও জাতির মঙ্গলে নিজেদের উৎসর্গ করার শপথ নিতে হবে। বহরমপুরে জেলা পুলিসের হেড কোয়ার্টারে জাতীয় পতাকা তোলেন পুলিস সুপার মুকেশ কুমার।
মুর্শিদাবাদের মাটি থেকে ব্রিটিশরা দেশ শাসনের সূচনা করেছিল। আবার এই জেলা থেকেই স্বাধীনতা আন্দোলনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে প্রথম বিদ্রোহ ঘোষণা হয়েছিল। বহরমপুর বারাক স্কোয়ার মাঠ থেকেই সিপাহী বিদ্রোহের সূচনা হয়েছিল বলেই ইতিহাসে উল্লেখ রয়েছে। ফলে, এই দিনকে ঘিরে জেলাবাসীর আবেগ কাজ করে। বৃহস্পতিবার ৭৩তম স্বাধীনতা দিবসের সকাল থেকেই রাস্তায় প্রভাতফেরির ঢল নেমেছিল। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ক্লাব ও সরকারি দপ্তর কার্যত জাতীয় পতাকায় মোড়া ছিল। বহরমপুর সহ জেলার প্রতিটি ব্লক ও মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলিও নিজেদের কার্যালয়ে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে। বহরমপুর জেলা কংগ্রেস অফিসে জাতীয় পতাকা তোলেন সংসদ সদস্য অধীর চৌধুরী।
জেলা কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের আগে বেলডাঙায় ঝাড়ু হাতে রাস্তা পরিষ্কার করেন তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি আবু তাদের খান। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বেলডাঙা আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেছিলেন সারগাছি চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক। সেই অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে আজিজিয়া হাই মাদ্রাসা স্কুলে ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল প্রকল্পের ঘোষণা করেন জেলাপরিষদের সভাধিপতি মোশারফ হোসেন মণ্ডল।
বিজেপির জেলা কার্যালয়েও এদিন দিনটি মর্যাদার সঙ্গে পালন করা হয়েছে। রোশনবাগে বিএসএফের হেড কোয়ার্টারে ১১৭, ৩৯ ও ৪৩ নম্বর ব্যাটেলিয়নের পক্ষ থেকে স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করা হয়।
অন্যদিকে, ভরতপুর-১ ব্লকের মাটিয়ারা গ্রামে এক হাজারের বেশি সরকারি পরিচয় প্রাপ্ত লোকশিল্পী দিনটি পালন করেন। আদিবাসী ও লোকশিল্পী সংঘের ভরতপুর-১ ব্লকের উদ্যোগে ওই অনুষ্ঠান করা হয়। এবিষয়ে সংঠগনের জেলা সভাপতি পাগলচন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্রতিবছর আমরা দিনটি এলাকার কোথাও না কোথাও পালন করে থাকি। এবারের বাজেট ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। পুরো টাকাটাই শিল্পীরা নিজেরা দিয়েছেন।