বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
তৃণমূলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদের মেন্টর মোহনবাবু ও জেলা কোঅর্ডিনেটর পাশাং লামা দু’জনেই কালচিনির বাসিন্দা। পাশাং লামা দলের জেলা কোঅর্ডিনেটরের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই মোহনবাবুর সঙ্গে তাঁদের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। সম্প্রতি আলিপুরদুয়ারে এসে যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দু’জনকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার বার্তা দিয়ে যান। রাজ্য নেতৃত্বও বারবার দু’জনকে একসঙ্গে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। কোর কমিটির বৈঠকগুলিতেও দলের জেলা নেতৃত্ব দু’জনের মধ্যে ভারসাম্য রাখার চেষ্টা করছে। কিন্তু তারপরেও দু’জনের দ্বন্দ্ব মেটেনি বলে দলীয় সূত্রে খবর। সেইজন্যই কি কালচিনিতে তৃণমূল ঘর গোছাতে পারছে না? সেই কারণেই কি কালচিনিতে মোহন শিবিরের লোকজন বসে গিয়েছে? এমনই প্রশ্ন দলের বিভিন্ন স্তরে ভেসে আসছে।
প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে মোহন ঘনিষ্ঠ অসীম মজুমদারকে ব্লক সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দিয়ে কালচিনিতে ব্লক সভাপতি করা হয় জেলা পরিষদ সদস্য গণেশ মাহালিকে। পাশাং লামা দলের জেলা কোঅর্ডিনেটর পদে আসার পরেই মোহন ঘনিষ্ঠ ব্লকের বেশিরভাগ অঞ্চল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারই প্রতিবাদে অসীমবাবু সহ মোহন ঘনিষ্ঠ দলের বেশিরভাগ প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতি ও পদাধিকারীরা বসে গিয়েছেন, এমনটাই খবর। মোহন ঘনিষ্ঠ নেতাদের অভিযোগ, দলের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হলেও দল তাঁদের সেভাবে সম্মান দিচ্ছে না। দলের বিভিন্ন কর্মসূচিতেও তাঁদের ডাকা হয় না। মোহনবাবু বলেন, আমি এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে পারব না। কিন্তু সবাই দেখছে দল কীভাবে চলছে। কালচিনি থেকে জিতে আসা মোহন ঘনিষ্ঠ জেলা পরিষদ সদস্যা পদ্মা রায় বলেন, দলের কর্মসূচিতে গেলে নানা অপমানজনক কথা শুনতে হয়। তাই এভাবে চলতে পারে না।
মোহন ঘনিষ্ঠ দলের প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসীমবাবু বলেন, নতুনরা দলের পদে এলেও প্রাক্তন পদাধিকারীদের সম্মান দিচ্ছেন না। দল এখন যেভাবে চলছে, ভোটে তার প্রভাব পড়বেই। এভাবে যাঁরা দলের ভোট বৈতরণী পার করতে চাইছেন, তাঁরা মুর্খের স্বর্গে বাস করছেন। এ বিষয়ে দলের ব্লক সভাপতি গণেশবাবু বলেন, মোহনদাকে দেখেই তো রাজনীতি শিখেছি। দলে কেউ নিষ্ক্রিয় নন। সবাই দলের কাজ করছেন। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি অসীমবাবুকে দলের জেলা সহ সভাপতি করা হয়েছে। প্রাক্তন অঞ্চল সভাপতিদের অনেককেই ব্লক কমিটিতে আনা হয়েছে। সবদিকে ভারসাম্য রেখেই দল চালানো হচ্ছে। তারপরেও কেন এই প্রশ্ন উঠছে বুঝতে পারছি না। পাশাং লামা বলেন, মোহনবাবুর সঙ্গে আমার কোনও দ্বন্দ্ব নেই। এসব অপপ্রচার। কালচিনিতে দল ঐক্যবদ্ধই আছে।