বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
বালুরঘাট কলেজের ছাত্র নীলাদ্রি সাহা দাবি করেছেন যে, তিনি তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সংসদ কমিটির সদস্য। নীলাদ্রি বলেন, আমরা এদিন কলেজে এসে দেখি যে, ইউনিয়ন রুমের দরজার তালা ভাঙা। সেখানে জোর করে ঢুকে কেউ বা কারা মদ্যপান করেছে। এখন তো কলেজ বন্ধ রয়েছে। রাতের বেলা কারা এই কাজ করেছে, তা জানি না। তাই আমরা বালুরঘাট কলেজের প্রিন্সিপালকে বিষয়টি জানিয়েছি। কলেজের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ঘটনার তদন্ত করা হোক। যদি কলেজ কর্তৃপক্ষ অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ না দেয়, তবে আমরা বুধবার কলেজ মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাব।
এদিকে, ছাত্র সংগঠনেরই আরেকটি অংশের দাবি, এদিন যাঁরা অভিযোগ তুলেছেন, তাঁদের সঙ্গে সংগঠনের কোনও সম্পর্ক নেই। বালুরঘাট কলেজের সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক বিক্রম রায় বলেন, এই অভিযোগ পুরোপুরি ভিত্তিহীন। লকডাউনের সময় থেকেই কলেজ খোলা হয় না। ওই ঘরের চাবি প্রিন্সিপালের কাছেই থাকে। যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তারা আমাদের কেউ না।
একই সুরে কথা বলেছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি অতনু রায়। তিনি বলেন, যে অভিযোগ উঠেছে, তেমন ঘটনা কখনই কাম্য নয়। এদিন কে বিক্ষোভ দেখিয়েছে, তা জানি না। যদি কেউ বিক্ষোভ দেখায়, তবে তারা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নাম করে সেসব করেছে। বালুরঘাটে সম্প্রতি এক নেতা তৃণমূল থেকে অন্য দলে চলে গিয়েছেন। এদিন যারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা তাঁর অনুগামী বলে মনে হচ্ছে।
এদিকে, বালুরঘাট কলেজ কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে, কলেজের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত। এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা নেই। বালুরঘাট কলেজের প্রিন্সিপাল পঙ্কজ কুণ্ডু বলেন, কলেজে সবসময় নিরাপত্তা কর্মী থাকেন। আমিও অনেক সময় কলেজ ক্যাম্পাসেই থাকি। তবুও এই ঘটনার কথা শুনে আমি সরেজমিনে দেখে এসেছি। কিন্তু কিছুই পাইনি। এখন যেহেতু কলেজে ক্লাস হচ্ছে না, তাই ওই ঘরটি তালা বন্ধ করে তার চাবি আমাদের কাছেই রাখা আছে।
প্রসঙ্গত, বালুরঘাট কলেজে এর আগেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের একাধিক গোষ্ঠী ছিল। তাদের মধ্যে মাঝেমধ্যেই গোষ্ঠীকোন্দল লেগেই থাকত। সূত্রের খবর, বালুরঘাটের এক প্রাক্তন তৃণমূল নেতার কিছু অনুগামী এখনও রয়ে গিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের মধ্যে। যদিও সেই নেতা কিছুদিন আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, সেই নেতার অনুগামীরা এখন তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের নাম করে অশান্তি পাকানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কলেজে রাতে দু’জন করে নিরাপত্তাকর্মী থাকেন। এছাড়াও গোটা কলেজ ক্যাম্পাস উঁচু পাচিল দিয়ে ঘেরা।