বিদ্যার্থীরা পড়াশুনার ক্ষেত্রে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা পাবে। নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অতিরিক্ত চিন্তার জন্য উচ্চ ... বিশদ
মালদহের গৌড় কলেজ, চাঁচল কলেজ, মানিকচক কলেজ সহ বিভিন্ন উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্নাতকস্তরের এই পরীক্ষা চলাকালীন দেখা গিয়েছে একই দৃশ্য। পড়ুয়ারা চলে আসছেন কলেজ সংলগ্ন কোনও মাঠে। সেখানে বসে পরীক্ষা দিচ্ছেন তাঁরা। কোথাও বা কলেজ ক্যাম্পাসে বসে চলছে পরীক্ষা দেওয়া। অনেকটা যেন পিকনিকের মেজাজে চলছে উত্তর লেখা। পরীক্ষার্থীদের এই আশঙ্কার বিষয়টি মেনে নিয়েছেন বেশ কয়েকজন কলেজ অধ্যক্ষও। গৌড় কলেজের অধ্যক্ষ অসীম সরকার বলেন, একথা ঠিকই যে, কিছু পরীক্ষার্থীর স্মার্টফোন বা ইন্টারনেট কানেকশন নেই। আমাদের কলেজে ওয়াইফাই পরিষেবা রয়েছে। তাই সেই পরিষেবা ব্যবহার করে কলেজের মাঠে বসে পরীক্ষা দেয় পরীক্ষার্থীদের একাংশ।
চাঁচল কলেজের অধ্যক্ষ নুরুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষার্থীরা মূলত ইন্টারনেট নিয়ে আশঙ্কার জন্যই কলেজের কাছাকাছি পরীক্ষা দিতে চলে এসেছে। মানিকচক কলেজের অধ্যক্ষ অনিরুদ্ধ চক্রবর্তী বলেন, আমরা কলেজ বা কলেজ সংলগ্ন এলাকায় পরীক্ষার্থীদের আসতে বারণ করেছি। তবে কিছু জায়গায় পরীক্ষার্থীরা একসঙ্গে বসে পরীক্ষা দিয়েছে কি না, তা জানা নেই। দুর্বল ইন্টারনেট সংযোগ ও স্মার্টফোন না থাকা নিঃসন্দেহে পরীক্ষার্থীদের পক্ষে বড় সমস্যা। সেকথা অবশ্য অস্বীকার করার উপায় নেই। গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা সমূহের নিয়ামক বিশ্বরূপ সরকার বলেন, সুষ্ঠুভাবে অনলাইন পরীক্ষা পরিচালনা নিশ্চিত করতে যাবতীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টাল, ওয়েবসাইট, কলেজের ওয়েবসাইট বা হোয়াটসঅ্যাপ থেকে প্রশ্ন পেতে পারেন। একইভাবে জমাও করতে পারেন। সমস্যা হলে কলেজে গিয়ে উত্তরপত্র জমা দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকছে। পরীক্ষা নিয়ে এখনও কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে আসেনি। বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থী জানান, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র কীভাবে সময় মতো ডাউনলোড করব, পরীক্ষা শেষ হওয়ার পরে উত্তরপত্র আদৌ বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে আপলোড করতে পারব কি না, তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। দুশ্চিন্তা কাটাতেই তাই অনেকে মিলে একসঙ্গে পরীক্ষা দিচ্ছি। যাতে কারও ইন্টারনেটের সমস্যা হলেও অন্য কারও থেকে বা কলেজের ইন্টারনেট ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র পেতে পারি ও উত্তরপত্র সময়ের মধ্যে জমা দিতে পারি।