উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলার উপ কৃষি অধিকর্তা (প্রশাসন) বিপ্লবকুমার ঘোষ বলেন, আমরা জানতে পারি যে ওই কারখানায় নকল সার ও কীটনাশক তৈরি করা হচ্ছে। অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে প্রমাণ পেয়ে যাই। তাই ওই কারখানার লাইসেন্স বাতিলের জন্য দপ্তরের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাব। পাশাপাশি অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আমাদের তরফে পুলিসের কাছে অভিযোগ দায়ের করার প্রক্রিয়া শুরু করেছি। তার কারখানা থেকে নকল কীটনাশকের নমুনা পরীক্ষার জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে। সমস্ত ধরনের কড়া আইনানুগ পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
ব্যবসায়ী ভবেশ রায় অবশ্য তার বিরুদ্ধে ওঠা নকল কীটনাশক ও সার তৈরির অভিযোগ মেনে নিয়েছে। সে বলে, করোনা আবহে কয়েক মাস ধরে আমার ব্যবসা ভালো চলছিল না। তাই পেটের দায়ে গত একমাস ধরে নকল কীটনাশক তৈরি করে বিক্রি করছিলাম। আমি ভুল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেছি। নিজের পেটের খাবার জোগাড় করতেই আমাকে এই কাজ করতে হয়েছে। তবে সারের কারখানা আমি চালাতে পারছিলাম না।
গত ২০১৬ সাল থেকে ভবেশ বাড়ির পিছনে বৈধ সার তৈরির কারখানা চালাচ্ছে। সেখানেই সে বায়োফ্লক পদ্ধতির মাধ্যমে মাছ চাষ ও বিড়ি তৈরির কারবারও করে। কৃষিদপ্তরের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে ভবেশ তাঁর বৈধ সার তৈরির কারখানার আড়ালে বালি, রাসায়নিক রং ও কীটনাশক মিশিয়ে নকল কীটনাশক তৈরি করছিল। খবর পাওয়ার পরেই দপ্তরের আধিকারিকরা অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেন। এদিন অভিযান চালানোর সময় প্রথমে কারখানায় দপ্তরে আধিকারিকদের ঢুকতে দিচ্ছিল না ওই ব্যবসায়ী। তারপর অভিযান চালানো শুরু করতেই সেখানে কর্মরত কর্মীরা কারখানা ছেড়ে একে একে পিঠটান দেয়। নিজস্ব চিত্র