উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
ইংলিশবাজার পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান নীহার ঘোষ বলেন, শহরের বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে উন্নত মানের আলো বসানো হচ্ছে। প্রায় দেড় কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে এই প্রকল্পের জন্য। একদিকে যেমন নতুন আলো বসানো হবে তেমনই বিকল হয়ে পড়া লাইটগুলি বদলে দেওয়া হবে। এর আগে শহরের বিভিন্ন এলাকায় হাইমাস্ট আলোক স্তম্ভ বসানো হয়েছে। পুরসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় এলইডি বসানো হয়েছে। শহরের সৌন্দর্যায়নের লক্ষ্যেই এই কাজ করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, পুরসভা এলাকার সৌন্দর্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে এর আগে একাধিক পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে এসব পদক্ষেপ বাস্তবে সাধারণ মানুষের কোনও কাজে আসেনি বলে বিরোধীদের পাশাপাশি তৃণমূলের তৎকালীন কাউন্সিলরদের একাংশ দাবি করেছিলেন। পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর অন্যতম সদস্য দুলাল সরকার বলেন, সিদ্ধান্ত হয়েছে নতুন করে আলোয় সাজানো হবে শহরকে। এছাড়াও এর আগে যেসব এলাকায় এধরনের আলো বসানো হয়নি সেখানে এই আলো বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কালীপুজো ও দীপাবলির আগেই এই আলোকায়ন করার চেষ্টা চলছে। তবে এত অল্প সময়ের মধ্যে পুরোটা সম্ভব না হলেও যত বেশি এলাকায় সম্ভব আলো লাগানো হবে।
উল্লেখ্য, এর আগেও মোটা টাকা খরচ করে ইংলিশবাজার পুরসভার বিভিন্ন রাস্তায় আলো বসানো হয়েছিল। তবে পরবর্তীকালে বেশকিছু আলো বিকল হয়ে পড়ে। বিশেষ করে মহানন্দা বাঁধ রোড এলাকায় অনেকগুলি আলো রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে যায়।
পুরসভার অবশ্য সাফাই, করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন চলাকালীন নিয়মিত দেখভাল করা সম্ভব না হওয়ায় কিছু আলো খারাপ হয়ে গিয়েছে। সরবরাহ ঠিকমতো না হওয়ার কারণে ওই আলোগুলিকে বদলে দেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে এবার সমস্ত আলোই যেন দীর্ঘদিন ধরে সচল থাকে তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তবে এই বিপুল অর্থ ব্যয় করে পুরসভার নতুন করে এই আলো বসানোর কাজে হাত দেওয়ার কঠোর সমালোচনা করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। প্রাক্তন সিপিএম কাউন্সিলার দুলাল চাকি বলেন, পুরসভায় এখন লুটের রাজত্ব চলছে।
শহরের বেশকিছু এলাকার কয়েক’শ পরিবার এখনও জলমগ্ন হয়ে রয়েছে। অন্যদিকে দেদার জলাজমি ভরাটের কাজ চলছে পুরসভার প্রশাসকদের একাংশের পরোক্ষ মদতে। এরই মধ্যে নতুন করে আলো বসানোর নামে লক্ষ লক্ষ টাকা লুটের নতুন রাস্তা খুলে দেওয়া হচ্ছে। সৎ সাহস থাকলে পুরসভার চেয়ারপার্সন জবাব দিন আগের আলোগুলি এত দ্রুত খারাপ হল কীভাবে?
বিজেপি’র প্রাক্তন কাউন্সিলার রাজীব চম্পটি বলেন, তৃণমূলের একটি অংশ বকলমে পুরসভা চালাচ্ছে নিজেদের মর্জিমাফিক। পুরসভার নির্বাচন হলেই তৃণমূলকে মানুষ বিদায় দেবে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে সব দুর্নীতির তদন্ত হবে। কলকাতাতেও ত্রিফলা বাতি নিয়ে দুর্নীতি হয়েছিল। মালদহেও তেমনই কিছু হচ্ছে বলে আমাদের অনুমান।