উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কোয়েল এলাকার এক বাসিন্দা রমেন মাঝি বলেন, নদীর প্রবাহ আটকে দেওয়ায় আমাদের এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে। আমরা গ্রামবাসীরা একাধিকবার জেলেদের বলেছি এই জায়গায় সুতি না বসাতে। তবুও প্রতি বছর একাজ করে চলেছে একাংশ মৎস্যজীবী। যার ফল ভুগতে হচ্ছে আমাদের। ক্ষুদ্র মৎস্যজীবিরা নদী থেকে তেমন মাছ পাচ্ছেন না। আমরা এনিয়ে স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েছি।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা মৎস্য আধিকারিক নন্দদুলাল চক্রবর্তী বলেন, নদীর প্রবাহ আটকে রেখে কোনওভাবেই মাছ ধরার অনুমতি সরকার দেয় না। সুতি জাল এমন একটি জাল তাতে নদীর কীটও রেহাই পায় না। আমরা নদীতে জেলা জুড়ে মাছ ছেড়েছি। এরকম ভাবে সুতি জাল পাতলে নদীর জীববৈচিত্র ধংস হয়ে যাবে। আমরা বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
গঙ্গারামপুর মহকুমা সেচ দপ্তরের আধিকারিক দেবব্রত পাল বলেন, নদীর প্রবাহ আটকে মাছ ধরার বিষয়টি নিয়ে আমাদের কাছে অভিযোগ আসেনি। প্রবাহ আটকালে নদীর দু’পাড় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এনিয়ে আমরা নজরদারি চালাব। ওই মৎস্যজীবীদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হবে। বংশীহারির বিডিও সুদেষ্ণা পাল বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা নেই। আমি থাকাকালীন এনিয়ে কেউ অভিযোগ করেননি। আমি সমস্ত বিষয় তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
জেলার বেশকিছু নদীতে প্রবাহ প্রায় আটকে দিয়ে সুতি জাল পাতা হয়েছে। টাঙ্গন, পুনর্ভবা নদীতে প্রশাসনের নজরদারির অভাবে একাংশ অসাধু মৎস্য ব্যবসায়ী এই বেআইনি কাজ করছে। প্রতিদিন নদীর মাছ তুলে ছোট গাড়িতে করে চলে যাচ্ছে জেলার বাইরে। মৎস্যজীবীরা জানান, সম্পূর্ণ নদীতে মোটা বাঁশ পুঁতে ঘেরা দেওয়া হয়। তারপর নদীর জল আটকানোর জন্য পলিথিন দিয়ে দেওয়া হয় বাঁশের মাঝে ও সাথে থাকে মশারির জাল। এবারে সম্পূর্ণ নদীর জল সরু একটি ক্যানেল করে পাস করায় সেখানেও থাকে মশারি জাল। অত্যাধুনিক দেশীয় প্রযুক্তিতে সম্পূর্ণ নদীর প্রবাহ আটকে এই জাল তোলা হয় ঘণ্টায় ঘণ্টায়। প্রশাসনের নজদারির অভাবে অবৈধভাবে মাছ ধরা হচ্ছে।