উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সম্প্রতি জেলায় গেরুয়া শিবিরের মণ্ডল ও জেলা কমিটি রদবদল হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে দলে যোগ্য সম্মান না পাওয়া পুরনো নেতাদের দলের জেলা ও মণ্ডল কমিটিতে জায়গা হয়নি। এরপরেই দলের বিক্ষুব্ধ অংশের নেতারা দলকে বার্তা দিতে সম্প্রতি শহরের একটি হোটেলে গোপন বৈঠক করেন। শুধু তাই নয়, দলকে বার্তা দিতে বিক্ষুব্ধরা দলের অনুমতি না নিয়ে ৩ নভেম্বর শহরের একটি ব্যবসায়ী সমিতির হলঘরে আলাদা করে বিজয়া সম্মিলনীও করে। বিক্ষুব্ধদের এই বিজয়া সম্মিলনী হয় বক্সা ফিডার রোডে দমকল কেন্দ্রের পাশে খোদ দলের জেলা পার্টি অফিসের একেবারে উল্টো দিকে।
শহরে পদ্মফুল শিবিরের বিক্ষুব্ধদের পর পর কর্মসূচিতে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। রাজনৈতিক মহলের ধারণা, একুশের বিধানসভা ভোটের আগে দলের বিক্ষুব্ধদের এই কর্মসূচিতে উদ্বিগ্ন বিজেপি নেতৃত্ব। মনে করা হচ্ছে তার জেরেই বিক্ষুব্ধদের এই শোকজ করার সিদ্ধান্ত।
বিজেপির জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, দলের থেকে দলীয় পদ ও ব্যক্তি বড় হতে পারে না। দলে থাকলে দলের অনুশাসন সবাইকে মানতে হবে। যারা দলের অনুমতি না নিয়ে সভা করেছে, বিজয়া সম্মিলনী করেছে তাদের শোকজ করা হবে। রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে নির্দেশ দেবে সেভাবেই কাজ হবে।
বিক্ষুব্ধরা অবশ্য দলের শোকজকে পাত্তা দিতে চাইছে না। বিজেপির বিক্ষুব্ধ অংশের এক নেতা দীপক শর্মা বলেন, দলে যোগ্য সম্মান ও দলের কমিটিতে জায়গা না পেয়ে অনেকেই দল ছাড়তে চাইছেন। সেই নেতা কর্মীদের দলে ধরে রাখতেই তো তাঁরা এই বৈঠক করেছেন। কাজেই এই বৈঠক করে তাঁরা কোনও অন্যায় করেননি। দল শোকজ করলে উত্তর তাঁরা দেবেন। দলের প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি মানিক সাহা বলেন, দল শোকজ করলে তার জবাব দেওয়া হবে। বিজয়া সম্মিলনীর মতো অরাজনৈতিক অনুষ্ঠান করে কোনও অন্যায় করিনি।