উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
রাজ্যে বামেরা ক্ষমতায় থাকাকালীন রাষ্ট্রীয় কৃষি বিকাশ যোজনায় কমলা লেবুর রস তৈরি করে বাজারজাত করার জন্য এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছিল। স্থানীয়রা চাইছেন, দেরি হলেও এখনও প্রকল্পটি করা যেতে পারে।
তৃণমূলের কুমারগ্রাম ব্লকের সভাপতি ধীরেশচন্দ্র রায় বলেন, প্রকল্পটির বিষয়ে খোঁজখবর নেব। আমরা এটা নেতৃত্বের গোচরেও আনব।
বিজেপির কুমারগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রের সংযোজক বাবুলাল সাহা বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস এখন ক্ষমতায় আছে। ওরা চাইলেই প্রকল্পটি করতে পারত। এতে বেকার কিছু ছেলেমেয়ের কাজের সুযোগ ঘটত। আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমরা ক্ষমতায় এলে প্রকল্পটি চালুর উদ্যোগ নেব।
কুমারগ্রাম ব্লক সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ইন্সপেক্টর বিমল এক্কা বলেন, প্রকল্পটি চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে আমরা সেটি চালু করতে পারিনি। ইউনিট গড়ার জন্য বরাদ্দ টাকা সমিতির ফান্ডেই রয়েছে।
কুমারগ্রামের বিডিও মিহির কর্মকার বলেন, প্রকল্পটি হলে স্থানীয় কিছু ছেলেমেয়ের কাজ হতো। কিন্তু কেন হল না আমি খোঁজ নেব।
স্থানীয় সূত্রের খবর, কুমারগ্রাম সদর থানা রোডের পাশে ইউনিটটি গড়ার জন্য তোড়জোড়ও একসময়ে শুরু হয়েছিল। এ জন্য পাঁচলক্ষ টাকা তৎকালীন রাজ্য সরকার বরাদ্দ করেছিল। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে কিছু লোকের কর্মসংস্থান হতো। চাহিদা অনুযায়ী জেলায় কমলার রসের জোগান দেওয়াও সম্ভব হতো। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সময়ে বরাদ্দ পাঁচলক্ষ টাকা এখনও সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ফান্ডে পড়ে আছে। যে ঘরটি ইউনিট করার জন্য নেওয়া হয়েছিল সেটাও দীর্ঘদিন ধরে তালাবন্ধ।
কুমারগ্রাম ব্লক প্রতিবেশী দেশ ভুটানের কাছেই। শীতকালে ভুটানের প্রচুর কমলা কুমারগ্রাম সদর দিয়েই জেলাতে আসে। ব্যবসায়ীরা এখান থেকে গোটা জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রির জন্য কমলা নিয়ে যান।
ভুটান থেকে কমলা আমদানি করে মেশিনের সাহায্যে রস তৈরি করার পর বোতলবন্দি করে তা জেলার বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করার লক্ষ্য নিয়েই প্রকল্পটি করার পরিকল্পনা ছিল। কমলার রস সংরক্ষণ করে সারা বছর বাজারে বিক্রি করাই ছিল লক্ষ্য। আপাতত সেই প্রকল্প এখন বিশবাঁও জলে।