উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
বিগত বছরগুলিতে কলেজেই কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পের আবেদন গ্রহণ করা হতো। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে এবার এখনও বহু স্কুলে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ হয়নি। অনেক ছাত্রীও একাধিক কলেজে ভর্তি হয়ে আছেন। এই অবস্থায় আগামী মার্চ মাসের মধ্যে কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পের ত্রুটিমুক্ত উপভোক্তা তালিকা প্রস্তুত করা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। তাই এবার কলেজের পরিবর্তে স্নাতকের প্রথমবর্ষের ছাত্রীরা যে স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করছেন, সেখানে যোগাযোগ করতে বলা হচ্ছে। উপভোক্তা তালিকা প্রস্তুতে গতি আনতে এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, ২০২০-’২১ আর্থিক বছরে শিলিগুড়ি মহকুমায় কন্যাশ্রী-২ প্রকল্পের আওতায় ৫৭৭৪ জন ছাত্রীকে আনার টার্গেট রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রকল্পের আওতায় এসেছে ৪৮৮৯ জনের মতো। এখনও পর্যন্ত ৮৮৫ জন ১৮ বছর বয়সি কলেজছাত্রী আবেদন করেননি। তাঁদেরকে নন ম্যারেজ সার্টিফিকেট, বয়সের প্রমাণপত্র ও ব্যাঙ্কের পাশবই নিয়ে আগের স্কুলে দাখিল করতে হবে। সেখানেই তাঁদেরকে একটি ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে। তা হলেই প্রকল্পে তাঁদের নাম নথিভুক্ত হবে। সংশ্লিষ্ট প্রকল্পে নাম পুনর্নবীকরণও একই পদ্ধতিতে হবে। শিলিগুড়ি মহকুমায় নাম পুনর্নবীকরণের তালিকায় ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় ৯২৩ জন। ওই ছাত্রীরা উচ্চশিক্ষার জন্য বছরে ২৫ হাজার টাকা করে পাবে। এ বিষয়ে স্কুল ও কলেজগুলিকে বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
মহকুমার ওসি কন্যাশ্রী বলেন, আগামী ১০-১৩ নভেম্বর পর্যন্ত মিড ডে মিলের জন্য স্কুল চালু থাকবে। ওই সময় স্কুলে গিয়ে ছাত্রীরা প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করা এবং পুনর্নবীকরণ করার আবেদন দাখিল করতে পারবে। এ জন্য সংশ্লিষ্ট দিনগুলিতে স্কুলগুলিতে বিশেষ ক্যাম্প করা হবে।
অন্যদিকে, শিলিগুড়ি মহকুমায় কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে উপভোক্তা তৈরির টার্গেট এখনও পুরণ হয়নি। প্রশাসন সূত্রের খবর, এবার মহকুমায় কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পের আওতায় ২৯ হাজার ৪০৪ জন ছাত্রীকে আনার টার্গেট রয়েছে। এখনও পর্যন্ত প্রকল্পের আওতায় এসেছেন ২৪ হাজার ৫৩১ জন। এখনও পর্যপ্ত প্রায় ৫০০০ ছাত্রীর নাম তালিকায় ওঠেনি। আগামী মার্চ মাসের মধ্যে তাঁদের নাম তালিকায় তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কন্যাশ্রী-১ প্রকল্পে ছাত্রীদের বছরে ১০০০ টাকা করে প্রদান করা হয়। এই প্রকল্পের সুযোগ পাবে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রীরা। কিন্তু কোভিড পরিস্থিতির জেরে স্কুলে ক্লাস হচ্ছে না। তাই স্কুলে যাচ্ছে না ছাত্রীরা। ফলে প্রকল্পে আবেদন জমা পড়ার গতি নেই। স্কুল কর্তৃপক্ষও ফোন করে ছাত্রীদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছে না। তাই এ ব্যাপারে প্রচার চালানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।