উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
সম্প্রতি বিমল গুরুং জনসমক্ষে আসার পর থেকেই পাহাড়ের রাজনীতি উত্তপ্ত হতে থাকে। বিনয়পন্থীদের তরফ থেকে বলা হতে থাকে বিমলকে পাহাড়ে ঢুকতে দেওয়া হবে না। পাল্টা বিমল গুরুংয়ের লোকজনও তাঁকে পাহাড়ে স্বাগত জানানোর জন্য মিছিল, সভা করতে থাকে। এরপরই গত ৩ নভেম্বর পাহাড় নিয়ে নবান্নে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই বৈঠকে ডাকা হয়েছিল জিটিএ প্রশাসনের সঙ্গে যুক্ত বিনয় তামাং ও অনীক থাপাকে। সেই বৈঠকে বিমল গুরুং প্রসঙ্গ নিয়ে আলোচনা হতে পারে এমনই সম্ভাবনার কথা শোনা গিয়েছিল। বৈঠক শেষে বিনয় তামাং জানিয়েছিলেন, বিমল গুরুং চ্যাপ্টার ইজ ক্লোজড। দিন কয়েকের মধ্যে কলকাতায় পাল্টা সাংবাদিক সম্মেলন করেন বিমল গুরুং। দাবি করেন, দার্জিলিং পুরসভার ১৭ জন কাউন্সিলার বিজেপি থেকে তাঁর দলে যোগ দিয়েছেন। ফের বিতর্ক বাধে পাহাড়ের রাজনীতিতে।
সেই আবহেই এদিন কলকাতা থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নামেন বিনয়, অনীতরা। দুই নেতাকে স্বাগত জানাতে বিশাল কনভয় নিয়ে আগেই হাজির হয়েছিলেন তাঁদের কয়েকশো অনুগামী। সড়কপথে দার্জিলিংয়ের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার আগে তাঁর কাছে বিমল প্রসঙ্গ তোলা হয়। তিনি কোনও জবাব দিতে চাননি। কেবল বলেছেন, মিশন পূর্ণ হয়েছে। আর জানিয়েছেন, কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পাহাড়ের রাজনীতি ও শান্তি স্থাপনের বিষয়ে আলোচনা করেছি। এদিকে কয়েকশো কর্মী সমর্থকের উষ্ণ অভিনন্দনে আপ্লুত বিনয় তামাং, অনীত থাপা। তাঁদের পহাড়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাগডোগরায় এসেছিল প্রচুর গাড়ি। দার্জিলিং, মিরিক, কার্শিয়াং, সুকনা, শালবাড়ি সহ পাহাড় সহ সমতল সংলগ্ন এলাকাগুলি থেকে শ’য়ে শ’য়ে চারচাকার গাড়ি, মোটর বাইক, স্কুটার নিয়ে আসেন বিনয়পন্থীরা। এর জেরে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত ব্যাপক যানজট হয়।
বাগডোগরার বিহাড় মোড় থেকে বিমানবন্দরগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে শুধুমাত্র মোর্চার ঝান্ডা দেওয়া বিনয়পন্থীদের গাড়ির লাইন দেখা যায়। বিমানবন্দর চত্বরে পার্কিংয়ের সমস্ত জায়গা মোর্চার পতাকায় হলুদ-সবুজ হয়ে যায়। যানজট নিয়ন্ত্রণে বাগডোগরার ট্রাফিক পুলিস কর্মীদের যথেষ্ট বেগ পেতে হয়। পাশাপাশি বিমানবন্দরের কর্মীরা ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে কাজে নেমে পড়েন। এদিকে পাহাড়ে উঠতেই বিভিন্ন জায়গায় অভিনন্দনে ভাসেন বিনয়-অনীত। পাহাড়ের লোকজনকে বলতে শোনা যাচ্ছে, গুরুং এলে পাহাড় ফের অশান্ত হতে পারে। বিনয়ের নেতৃত্ব পাহাড়ে শান্তি ফিরে এসেছে। প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী আরও উন্নয়ন করার ব্যাপারে ওঁদের কথা দিয়েছেন। তাই বিমলের পরিবর্তে বিনয়-অনীতের হাত ধরেই পাহাড় এগিয়ে চলুক, এমন আলোচনা চলছে। নিজস্ব চিত্র