উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
পুলিস জানিয়েছে, দু’টি গাড়ির চালক হরিপদ রায় ও সুখলাল বিশ্বাস এবং ওসব সামগ্রী নিজের বলে দাবি করা মণীন্দ্র মল্লিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। চাল ও গমের মোট ১৩৬টি বস্তা উদ্ধার হয়েছে। ওসব বস্তার অনেকগুলিতেই খাদ্য সরবরাহ দপ্তরের সিল ছিল। বিশেষ সূত্র মারফত পুলিসের দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকদের কাছে খবর আসে, সকালে দু’টি ছোট মালবাহী গাড়ি চাল ও গমের বস্তা বোঝাই করে ধূপগুড়ি ও ফালাকাটার দিক থেকে ময়নাগুড়ির দিকে আসছে। দপ্তরের আধিকারিকরা টেকাটুলিতে কোচবিহার-জলপাইগুড়ি জাতীয় সড়কে এ জন্য ওঁত পেতে বসে থাকেন। প্রথমে একটি গাড়ি এলে সেটিকে দাঁড় করানো হয়। কিছুক্ষণের মধ্যে অপর গাড়িটি আসে। সেটিকেও আটক করেন আধিকারিকরা। জিজ্ঞাসাবাদে চালকদের কথায় নানা অসঙ্গতি মেলে। মণীন্দ্র মল্লিক ওইসব সামগ্রী নিজের বলে দাবি করে। কিন্তু বস্তার মধ্যে সরকারি সিল রয়েছে কেন, তার নির্দিষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেনি। পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত মণীন্দ্র মল্লিকের কথায় প্রচুর অসঙ্গতি মেলে। প্রথমে সে বলে বিভিন্ন বাড়ি থেকে ওইসব সামগ্রী কিনেছে। পরে জানায় পরিচিত কিছু ফড়ের মাধ্যমে চাল, গম কিনেছে। আবার একসময় বলে, হাটের থেকে কিছু চাল, গম কিনেছে। ময়নাগুড়ির দু’জন ব্যবসায়ীর কাছে এসব কিনেছে বলেও জানায়। এত কথা বললেও চাল, গমের কোনও কাগজপত্র দেখাতে না পারাতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জেলা দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিক মৃদুল দত্ত বলেন, গোপন সূত্র মারফত খবর পেয়ে অভিযান চালিয়ে হাতেনাতে সাফল্য মেলে। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর পিছনে আর কারা জড়িত তা দ্রুত আমরা উদ্ধার করব। বস্তার উপরে পিডিএস ছাপ দেখা গিয়েছে। আমরা খাদ্যদপ্তরের সঙ্গেও যোগাযোগ করছি।
প্রসঙ্গত, ধূপগুড়ির দিকে থেকে আসা গাড়িটি থেকে ৩৩ বস্তা চাল, ৪৫ বস্তা গম এবং ফালাকাটার দিকে থেকে গাড়িটি থেকে ৫৮ বস্তা গম বাজেয়াপ্ত করা হয়। মোট ১৭ কুইন্টাল ৭০ কেজি চাল এবং ৫৮ কুইন্টাল ৯০ কেজি গম মিলেছে। নিজস্ব চিত্র