হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) ইন্দিরা মুখোপাধ্যায় বলেন, পুজোর আগে শহরে চুরি, ছিনতাই বেড়ে যায়। তা রুখতে পুরুষ ও মহিলা পুলিস কর্মীদের নিয়ে বিশেষ দল তৈরি করা হয়েছে। তাঁরা সর্বক্ষণ শহরে নজদারি চালাবেন।
শিলিগুড়ি শহরে ছিঁচকে চোরের উপদ্রব অনেকদিনের। মাঝেমধ্যেই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি থেকে মোবাইল ফোন, ঘড়ি, মোটর বাইক চুরি হচ্ছে। কখনও ঘরের জানালার নেট কেটে, আবার কখনও পাইপ বেয়ে দোতালা বাড়ির জানালার কাছে গিয়ে লোহার শিক দিয়ে মোবাইল ফোন, ঘড়ি চুরি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। রাস্তা, ফ্ল্যাট বাড়ি, দোকানের সামনে দাঁড় করিয়ে রাখা মোটর বাইক, স্কুটারও চুরি হচ্ছে। এমনকী, পথচারীর কান ও গলা থেকে সোনার গয়না, হাত থেকে মানিব্যাগ, মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দিচ্ছে দুষ্কৃতীরা। ইতিমধ্যে বিভিন্ন থানায় এমন কিছু অভিযোগও দায়ের হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এনজেপি এলাকা থেকে মোবাইল ছিনতাই চক্রের একটি গ্যাংকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ধৃতদের জেরার পর পুলিসের আশঙ্কা, পুজোয় শহরে দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য আরও বাড়বে। তাই শহরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও চাঙ্গা করতে পুলিস উদ্যোগী হয়েছে।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুষ ও মহিলা পুলিস কর্মীদের নিয়ে একটি দল গঠন করা হয়েছে। আপাতত সেই দলে ৩০-৪০ জন রয়েছেন। তাঁদের বয়স ৩০-৩৫ বছরের মধ্যে। সেই দলের সদস্যরা কয়েকটি দলে ভাগ হয়ে শহরের বিভিন্ন ওলিগলিতে মোটর বাইক ও স্কুটার নিয়ে দিনভর চক্কর কাটবেন। ছেলেদের মতো মহিলা পুলিস কর্মীদেরও পরনে থাকবে জিন্স ও টি-শার্ট। তাঁদের কাছে থাকবে স্পাই ক্যামেরা। প্রতিদিন সেই ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হবে। তাছাড়া কোনও ব্যক্তির গতিবিধি নিয়ে সন্দেহ হলে সেবিষয়ে স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করবে তাঁরা। পাশাপাশি সন্দেহজনক সেই ব্যক্তির উপর তাঁরা নজদারি চালাবেন। পুলিসের এক অফিসার বলেন, চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং রুখতে এমন পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বৃহস্পতিবার রাতে শহরের এনজেপি এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় মোবাইল ফোন ছিনতাই চক্রকে পাকড়াও করে পুলিস। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভক্তিনগর বাজার এলাকায় এক যুবক মোবাইল ফোন বিক্রি করছিল। মোবাইল ফোন বিক্রির বৈধ কোনও নথি ওই যুবকের কাছে ছিল না। স্থানীয় বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিস ওই যুবককে ধরে। ধৃতের কাছ থেকে কয়েটি মোবাইল ফোনও বাজেয়াপ্ত হয়। এরপর ধৃত যুবকের দেওয়া তথ্য অনুসারে শান্তিপাড়া ও ভক্তিনগর এলাকা থেকে আরও ছ’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। ডেপুটি পুলিস কমিশনার (পূর্ব) জানিয়েছেন, সোর্সের দেওয়া তথ্য অনুসারে ওই মোবাইল ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে ১৭টি মোবাইল ফোন ও একটি ট্যাব বাজেয়াপ্ত হয়েছে। পাশাপাশি পুজোর আগে চুরি, ছিনতাই ও ইভটিজিং রুখতে শহরে নজরদারি বাড়ানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।