হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
মালবাজারের বিজেপি নেতা পঙ্কজ তেওয়ারি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী শুধু ঘোষণাই করে গিয়েছেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। আমরা চাই দ্রুত তিস্তাতে করোনেশন ব্রিজের বিকল্প একটি সেতু কোনও এক জায়গায় করা হোক।
তৃণমূলের মাল ব্লক সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, এটা ঠিকই যে মুখ্যমন্ত্রী কালিম্পংয়ে এসে বিকল্প সড়ক সেতু তৈরি করা কথা বলেছিলেন। কিন্তু এখনও তার কাজ শুরু হয়নি। আমরা দলের পক্ষ থেকে এই বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে জানাব। স্থানীয় বাসিন্দা পরিবেশ প্রেমী সুজিত দাস বলেন, করোনেশন ব্রিজ অনেক পুরনো। তাই খুব তাড়াতাড়ি আরেকটি বিকল্প সেতু তৈরি করা প্রয়োজন। ওই ব্রিজ ক্ষতিগ্রস্ত হলে ডুয়ার্স এবং শিলিগুড়ির মধ্যে সহজে যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।
প্রসঙ্গত ডুয়ার্সের নাগরাকাটা, মালবাজার, মেটেলি সহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা এই রাস্তা দিয়ে খুব সহজেই শিলিগুড়ি পৌঁছতে পারেন। কিন্তু বর্ষার মরশুমে এখনও পর্যন্ত দু’বার ধস নেমে রাস্তাটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তখন ওই এলাকার বাসিন্দাদের গজলডোবা হয়ে শিলিগুড়ি যেতে হচ্ছিল। কিন্তু গজলডোবার রাস্তা দিয়ে শিলিগুড়ি যেতে একদিকে যেমন অনেকটা সময় খরচ হয় অন্যদিকে ঘন জঙ্গল থাকায় ওই রাস্তায় হাতি সহ বন্যপ্রাণী আসতে পারে। তাছাড়া রাতেরবেলায় ওই রাস্তা একদম ফাঁকা থাকায় মোটর বাইক, স্কুটার নিয়ে চলাচল করা যথেষ্টই ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। তাই এই ঝঞ্ঝাট এড়াতে তিস্তার রেল সেতুর পাশে বিকল্প হিসেবে একটি সড়ক সেতুর দাবি বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের। স্থানীয়দের চাহিদা আঁচ করে মুখ্যমন্ত্রী সেখানে বিকল্প সেতুর কথা ঘোষণ করেছিলেন। সেসময় ডুয়ার্সবাসীর মধ্যে খুশির হাওয়া বইছিল। কিন্তু বছর গড়িয়ে গেলেও কাজ শুরু না হওয়ায় হতাশার ছায়া সমগ্র ডুয়ার্সে।
প্রতিদিন নানা কাজে ডুয়ার্স থেকে বহু মানুষ শিলিগুড়িতে আসা যাওয়া করেন। চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা সহ বিভিন্ন কাজে ডুয়ার্সের একাংশ বাসিন্দা সেভক হয়ে শিলিগুড়িতে যান। তেমনি পর্যটকরাও ওই রুট ধরেই ডুয়ার্সে আসেন। ডুয়ার্সের বাগরাকোট, ওদলাবাড়ি, মালবাজার, চালসা, নাগরাকাটা, বানারহাট সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে শিলিগুড়ি যাওয়ার সহজ রাস্তা এটিই। কিন্তু এই রাস্তাতেই রয়েছে খরস্রোতা তিস্তা নদী। তিস্তার উপরে একমাত্র সড়ক সেতু করনেশন ব্রিজ। ইংরেজ আমলে ১৯৩৭ সালে এই ব্রিজের নির্মাণ কাজ শুরু হয়। ব্রিজের উপর দিয়ে যানবাহনের যাতায়াত শুরু হয় ১৯৪১ সালে। সেসময় সামান্য কিছু যানবাহন যাতায়াত করত। বর্তমানে হাজার হাজার গাড়ি চলাচল করে। ৭৮ বছরের পুরনো এই সেতুর মেয়াদ অনেক দিন শেষ হয়ে গিয়েছে। মাঝে একবার ফাটল দেখা দিয়েছিল। সেটি যুদ্ধকালীন পরিস্থিতিতে পূর্তদপ্তর মেরামত করে। তারপর থেকে ভারী যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ডুয়ার্স এলাকার প্রতিটি মানুষ চায় দ্রুত বিকল্প সেতু হোক।