রূপাঞ্জনা দত্ত, লন্ডন: দুরন্ত লড়াই করে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদের দৌড়ের শেষ অঙ্কে পৌঁছেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনাক। আর মাত্র একটি ধাপ। প্রতিদ্বন্দ্বী লিজ ট্রসকে হারাতে পারলেই ইতিহাস রচনা করবেন সুনাক। এই শেষ ধাপটাই কঠিনতম হতে চলেছে। কারণ, সমর্থনের নিরিখে কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে পিছিয়ে রয়েছেন সুনাক। ৩১ শতাংশ টোরি সদস্য সুনাককে সমর্থন করেছেন। ৪৯ শতাংশের সমর্থন রয়েছে লিজের দিকে। ১৫ শতাংশ এখনও কোনও সিদ্ধান্তের কথা জানাননি। বর্তমান চ্যান্সেলর নাদিম জাহাউই থেকে ব্রান্ডন লুইস আগেই লিজকে সমর্থন করেছেন। সেই তালিকায় নবতম সংযোজন পেনি মর্ডান্ট। তবে ৫ সেপ্টেম্বরের আগে অনেক কিছুই ঘটতে পারে। আর সেই সম্ভাবনা জাগিয়ে রেখেছেন ব্রিটিশ বংশোদ্ভূত উগান্ডানরা। সেই উগান্ডানদের সমর্থন পেতে গত সপ্তাহে স্ট্যানমোরে প্রচার সারলেন ঋষি সুনাক।
স্ট্যানমোরে তাঁর নিজের বাড়িতে এই সভার আয়োজন করেছিলেন উগান্ডান এশিয় বংশোদ্ভূত লর্ড ডলার পোপাত। কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে ১ লক্ষ ৬০ হাজার অনুগামী রয়েছে তাঁর। সেই অনুগামীরা যাতে ঋষি সুনাককে সমর্থন করেন, তার জন্যই ছিল এই প্রচারের ব্যবস্থা। কেন তিনি ঋষি সুনাককে সমর্থন করছেন?  ‘বর্তমান’-এর এই প্রশ্নের উত্তরে একাধিক বিষয় তুলে ধরেন পোপাত। তিনি বলেন, ‘আমার বাড়িতে ঋষি সুনাকের সমর্থনে প্রচার সভার আয়োজন করতে পেরে আমি নিজেকে সম্মানিত বোধ করছি। আমি তাঁর অনেক বড় সমর্থক। তাঁর জন্য সমর্থন জোগাড় করার কাজ করতে পেরে আমি আনন্দিত। প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে শেষ দু’জনের মধ্যে তিনি পৌঁছেছেন বলে আমি খুব খুশি হয়েছি।’ 
সেই ১৯৭২ সালে উগান্ডার এশীয় বংশোদ্ভূতদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করেন ইদি আমিন। দেশ ছাড়ার জন্য তিনি মাত্র ৯০ দিন সময় দিয়েছিলেন। প্রায় ৬০ হাজার উগান্ডার এশীয় বংশোদ্ভূত সেবার বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েন। সেই ঘটনার ৫০ বছর পূর্তি হতে চলেছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হওয়ার আগেই এই সভার আয়োজন করা হয়। 
সেখানে সুনাক বলেন, ‘আমি আজ এখানে পৌঁছতে পেরেছি। কারণ, আপনাদের মতো আমার পরিবারের জন্যও এই দেশ অনেক কিছু করেছে। এই দেশ তাঁদের শরণার্থী হিসেবে স্বাগত জানিয়েছে।’ এ প্রসঙ্গে নিজের পারিবারিক ঐতিহ্যও তিনি তুলে ধরেন সুনাক।