সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
তারা জানিয়েছে, আফগানিস্তানের কাবুলে হাক্কানি নেটওয়ার্কের সেফ হাউসে ঘাঁটি গেড়েছিলেন আল কায়েদা প্রধান। অভ্যাসবশত রবিবার ভোরেও ব্যালকনিতে গিয়েছিলেন তিনি। তখনই তাঁকে লক্ষ্য করে উড়ে আসে মার্কিন ‘ম্যাকাব্রে হেলফায়ার আর৯এক্স’ মিসাইল। মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় আল কায়েদা প্রধানের দেহ। সম্পূর্ণ হয় ৯/১১ হামলার বদলা। সোমবার তৃপ্ত কণ্ঠে হোয়াইট হাউস থেকে তাঁর মৃত্যুর খবর ঘোষণা করেন স্বয়ং মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, আল কায়েদা প্রধানের হদিশ পেতে দীর্ঘদিন ধরেই ওঁত পেতে বসেছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। গোপন সূত্রে জাওয়াহিরির হদিশ পেতেই মোস্ট ওয়ান্টেড টেররিস্টের উপর নজর রাখা শুরু হয়। দশ বছর আগে ওসামা বিন লাদেনকে খতম করার সময়ও একই পদ্ধতি গ্রহণ করেছিল সিআইএ। দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণের পর জানা যায়, প্রতিদিন ভোরে ব্যালকনিতে যান আল কায়েদা প্রধান। সেখানে বসে বই পড়তে পছন্দ করেন তিনি। কিন্তু, সেফ হাউস থেকে কখনই থেকে তাঁকে বাইরে বেরতে দেখা যায়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্টকেও বিষয়টি জানান সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা। তারপরই গত ২৫ জুলাই সিআইএকে সুযোগ পেলেই এয়ারস্টাইকের অনুমতি দেন বাইডেন। সেইমতো গোটা পরিকল্পনা সাজানো হয়। রবিবার ভোর থেকে মেঘের আড়ালে অপেক্ষা করছিল মার্কিন রিপার ড্রোন। প্রতিদিনের মতো জাওয়াহিরি ব্যালকনিতে আসতেই ধেয়ে আসে জোড়া হেলফায়ার মিসাইল। তবে কে বা কারা আল কায়েদা প্রধানের ঠিকানা আমেরিকাকে জানাল, তা নিয়ে জল্পনা চলছে। এরমধ্যে চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে টাইমস অব ইজরায়েলে। সেখানে বলা হয়, পাকিস্তানই সম্ভবত জাওয়াহিরির অবস্থান জানিয়েছে। কিন্তু কেন? রিপোর্টে উল্লেখ, দেনার দায়ে ডুবে রয়েছে পাকিস্তান। এর মধ্যেই সন্ত্রাসে মদতের অভিযোগে তাদের উপর এফএটিএফের আর্থিক নিষেধাজ্ঞার খাড়া ঝুলছে। গত সপ্তাহেই পাক সেনাপ্রধান বাজওয়া মার্কিন প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছিলেন। তারপরই পেন্টাগনের এক শীর্ষ আধিকারিকের সঙ্গে তিনি ফোনেও কথা বলেছিলেন। সেই সময়ই দেশকে জোড়া বিপদ থেকে বাঁচাতে পাক সেনাপ্রধান সম্ভবত জাওয়াহিরির হদিশ মার্কিন প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন।