সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
গত ২৫ বছরে এই প্রথম আমেরিকার শীর্ষস্তরের কোনও আধিকারিক এই স্বশাসিত দ্বীপ সফরে এলেন। তাইওয়ানকে নিজেদের এলাকা বলেই দাবি করে চীন। তাদের বক্তব্য, প্রয়োজনে বলপ্রয়োগে তা মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে যুক্ত করা হবে। বেজিং হুমকি দিয়ে বলেছিল, পেলোসি সফরে এলে কড়া জবাব দেওয়া হবে। তা যে কথার কথা নয়, তার প্রমাণ মিলল পেলোসি তাইওয়ানে নামার মুহূর্তেই। এই দ্বীপরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এদিন জানায়, আকাশসীমা লঙ্ঘন করে দক্ষিণ-পশ্চিম তাইওয়ানে ঢুকে এসেছে চীনের ২১টি সামরিক বিমান। অন্যদিকে, চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, এই সফরের মোকাবিলায় চীনের সামরিক বাহিনী ‘টার্গেটেড’ অভিযান চালাবে। জাতীয় ও আঞ্চলিক সংহতি দৃঢভাবে রক্ষা করা হবে। মঙ্গলবার রাত থেকেই তাইওয়ান দ্বীপের চারদিকে সামরিক মহড়া শুরু করা হবে। এর ফলে চীনা প্রেসিডেন্ট জি জিনপিং আদতে সামরিক অভিযান শুরুর বার্তা দিয়ে রাখলেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
বিমানবন্দরে এদিন পেলোসিকে স্বাগত জানান তাইওয়ানের বিদেশমন্ত্রী জোসেফ য়ু। প্রকাশ্যে আসা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, বিমানবন্দরে নামার পর রানওয়েতে প্রায় অন্ধকারে টর্চের আলোয় হেঁটে যাচ্ছেন পেলোসি। চীনা বিমান হামলার আশঙ্কা থেকেই বিমানবন্দরের বহু আলো নিভিয়ে ফেলা হয় বলে মনে করা হচ্ছে। তবে চীনের এই চোখ রাঙানিতে আমেরিকা যে ভীত নয়, তাইপেইতে পৌঁছে তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন পেলোসিও। তিনি বলেন, তাইওয়ানের প্রাণবন্ত গণতন্ত্রের প্রতি আমেরিকার দায়বদ্ধতা অটুট। তাকে সম্মান জানাতেই মার্কিন প্রতিনিধি দলের এই সফর। অন্যদিকে, চীনের আপত্তি প্রসঙ্গে হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি বলেন, ‘পেলোসির যেখানে যেতে ইচ্ছা করবে, সেখানেই তিনি যেতে পারেন। স্পিকারের তাইওয়ান যাওয়ার অধিকার রয়েছে।’