সামাজিক কর্মে সম্মান লাভ। স্ত্রী’র শরীর-স্বাস্থ্য খারাপ হতে পারে। দেরীতে অর্থপ্রাপ্তি। ... বিশদ
কিন্তু কীভাবে এতদিন পর মনে পড়ল তাঁর বইয়ের কথা?
সম্প্রতি অ্যালেক্সির মা মারা গিয়েছেন। ফলে ভারাক্রান্ত তাঁর মন। বার্কস কাউন্টিতে মায়ের বাড়ি সাফসুতরো করতে পৌঁছন তিনি। সেখানেই একগাদা বই দেখতে পান ওই মহিলা। ধুলো ঝেড়ে পাতা ওল্টাতেই তাঁর চোখে পড়ে, পেনসেলভেনিয়া ফ্রি লাইব্রেরির স্ট্যাম্প। ইস্যু করা হয়েছে ১৯৯২ সালে। এক লহমায় ৩০ বছর পিছিয়ে যান তিনি। মনে পড়ে যায়, এই কিশোর সাহিত্যগুলি পড়ার জন্য নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু আর ফেরত দেওয়া হয়ে ওঠেনি। লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেরিতে হলেও অ্যালেক্সি যে বই ফেরনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তাকে সম্মান জানাতেই জরিমানা মকুব করা হয়েছে। এই ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্তে জেরে আরও অনেকেই বই ফেরাতে উৎসাহী হবেন বলে মনে করছে তারা। অ্যালেক্সি যেদিন বই ফেরাতে এসেছিলেন, সেদিন তাঁর সঙ্গে এক পুরনো লাইব্রেরিয়ানের দেখা হয়। ওই লাইব্রেরিয়ানের কথায়, অনেকেই হয়তো নানা কারণে সময়মতো লাইব্রেরিতে বই ফেরত দিতে ভুলে যান। কিন্তু পরে যখন মনে পড়ে, তখন মোটা জরিমানা গোনার আশঙ্কায় আর আসেন না। ফলে লাইব্রেরিতে এসে পৌঁছয় না বহু দুর্মূল্য বই। সেকারণে এই ‘সামান্য দেরি’র জন্য অ্যালেক্সির থেকে জরিমানা নেওয়া হয়নি। এটা যদি অন্যদের বই ফেরতে উৎসাহ জোগায়, তা হলেই উদ্দেশ্য পূরণ হবে। তিন দশক পর লাইব্রেরিতে বই ফেরতের বিষয়টি চাউর হতেই পাঠকদের থেকে নানা সরস মন্তব্য আসতে শুরু করেছে।