কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
ঘটনাটি পাটনার মইন-উল-হক স্টেডিয়ামের পাশে বাজার সমিতি রোডে অবস্থিত বাপু স্মারক গার্লস হাইস্কুলের। ১৯৫০ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লালবাহাদুর শাস্ত্রীর বোন সুন্দরী দেবী কাদামকুয়ান এলাকায় স্কুলটির প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু, ওই স্কুলভবনের সংস্কারের প্রয়োজন হওয়ায় গার্লস স্কুলটিকে বাজার সমিতি রোডের গভর্নমেন্ট বয়েজ স্কুলে স্থানান্তরিত করা হয় ২০১২ সালে। অভিযোগ, স্কুলটি স্থানান্তরিত করা হলেও ছাত্রীদের জন্য পৃথক পরিকাঠামো গড়ে তোলা হয়নি। বাপু স্মারক গার্লস হাইস্কুলের প্রিন্সিপাল মীনাক্ষী ঝা জানান, স্কুলভবনে দু’টি শৌচালয় রয়েছে। একটি নীচে এবং একটি দু’তলায়। নীচের তলার শৌচালয় ব্যবহার করে নিরাপত্তা বাহিনী। মাঝে মাঝে তারা উপর তলার শৌচালয়টিও ব্যবহার করে। প্রিন্সিপালের কথায়, ‘গত একবছর ধরে নীচের তলার শৌচালয়টি নিরাপত্তা বাহিনী ব্যবহার করছে। তাই বাধ্য হয়ে ছাত্র-ছাত্রী এবং শিক্ষকদেরও দু’তলার শৌচালয় ব্যবহার করতে হচ্ছে। স্কুলে এলেই দেখবেন শৌচালয়ের বাইরে লম্বা লাইন পড়ে গিয়েছে।’ অস্বস্তির কারণেই কয়েকজন ছাত্রী স্কুলে আসা বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান প্রিন্সিপাল। অন্যদিকে বয়েজ স্কুলের প্রিন্সিপাল জানান, প্রথমে শুধু নীচের তলার একটি হলঘর মাত্র এক মাসের জন্য নেওয়ার কথা বলেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। কিন্তু, একবছর হতে চললেও তারা এখান থেকে নড়তেই চাইছে না। এই নিয়ে জেলা প্রশাসনকে একাধিকবার চিঠি দিয়েও লাভ হয়নি বলেই জানান তিনি।
ছাত্রীদের দুর্দশার কথা জানতে পেরে গত শুক্রবার স্কুল পরিদর্শনে আসেন বিহার মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পরে কমিশনের প্রেসিডেন্ট দিলমানি মিশ্রা বলেন, ‘চমকে দেওয়ার মতো ঘটনা। ছাত্র এবং ছাত্রীদের জন্য আলাদা শৌচালয় থাকা উচিত।’ শীঘ্রই শিক্ষাদপ্তরকে এই বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছে মহিলা কমিশন।