কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্টের রাফাল রায়ের ফলে রাজনৈতিকভাবে কিছুটা ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে কংগ্রেস। কিন্তু সেই রাফাল রায়ের একটি অংশকে হাতিয়ার করেই ফের কেন্দ্রের মোদি সরকারকে চেপে ধরার পরিকল্পনা করেছেন সোনিয়া-রাহুল গান্ধী। দলীয় সূত্রের খবর, ৩০ নভেম্বরের সমাবেশ থেকে রাফাল কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটির তদন্তের দাবিও তুলবেন সোনিয়া-রাহুল। ইতিপূর্বেই রাফাল কাণ্ডে জেপিসির দাবিতে সংসদে সোচ্চার হয়েছে কংগ্রেস এবং বিরোধীরা। ফের সেই দাবি তুলতে চলেছে তারা। আজ এখানে কংগ্রেস নেতা রণদীপসিং সুরজেওয়ালা এবং কে সি ভেনুগোপাল বলেছেন, ‘আচ্ছে দিনের পরিবর্তে বিজেপি সারা দেশকে বিপজ্জনক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। মনে হচ্ছে, দেশের মানুষ যেন কারাগারে বন্দি। ইতিমধ্যেই এর প্রতিবাদে সোনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধীর ডাকে সারা দেশে আমরা ব্যাপক আন্দোলন কর্মসূচি গ্রহণ করেছি। এবার রামলীলা ময়দানে দেশ বাঁচাতে মহা সমাবেশের পালা।’ দেশের আর্থিক দুরবস্থা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কৃষি ক্ষেত্রে সঙ্কটের মতো একাধিক ইস্যুতে গত ৫ থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশের প্রত্যেক জেলা এবং রাজ্যস্তরে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ আন্দোলন কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল কংগ্রেস। তারই সম্মিলিত রূপ দেওয়া হচ্ছে রামলীলা ময়দানের মহা সমাবেশে। আজ এখানে এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা কে সি ভেনুগোপাল।
মহা সমাবেশের এদিনের প্রস্তুতি বৈঠকে এদিন অবশ্য সোনিয়া বা রাহুল গান্ধী কেউই ছিলেন না। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী, কে সি ভেনুগোপাল, আহমেদ প্যাটেলের মতো নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র এবং রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নানও হাজির ছিলেন বৈঠকে। মান্নান সাহেব জানিয়েছেন, মহা সমাবেশের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্যই এই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সোমেনবাবু জানিয়েছেন, রাফাল রায়ের পরই দেশজুড়ে কংগ্রেসের কার্যালয় ঘেরাও করার কর্মসূচি নিয়েছে বিজেপি। এটি কোনও রাজনৈতিক সংস্কৃতি হতে পারে না।