কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সংস্কৃত কলেজের তৃতীয় বর্ষের পড়ুয়া অনুষ্কা। আর্কিওলজি নিয়ে পড়াশোনা করছিলেন তিনি। কয়েকদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। তাঁর পরিবারে বাবা ও মা রয়েছেন। তাঁরা পুলিসকে জানিয়েছেন, বাড়িতে কথা বার্তা কম বলছিল অনুষ্কা। কলেজও যেত না সে। তরুণী কোনও মানসিক চাপে ছিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা। বুধবার সন্ধ্যায় নিজের ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয় অনুষ্কা। দীর্ঘক্ষণ কোনও সাড়াশব্দ না পেয়ে সন্দেহ হয় তাঁর বাবা সজল বসুর। তিনি জানালার ফাঁক দিয়ে মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। এরপরেই স্থানীয়দের ডেকে এনে বাড়ির দরজা ভাঙা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় গিরিশ পার্ক থানার পুলিস। যুবতীকে উদ্ধার করে আর জি কর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। মৃতের ঘর থেকে উদ্ধার হওয়া একটি চিরকুটে লেখা রয়েছে, ‘আমার মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী নয়’। প্রাথমিকভাবে পুলিস এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলেই মনে করছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, অত্যন্ত মেধাবী ছিলেন অনুষ্কা। কী কারণে আত্মহননের পথ বেছে নিল, তা ভেবে পাচ্ছে না পরিবার। গোটা ঘটনাটির তদন্ত করছে পুলিস। রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি।