কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
সোমবার পুর পরিষেবা এবং সরকারি জমি জবরদখল নিয়ে পুলিসকে জোর ধমক দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপরই এব্যাপারে অতিসক্রিয় হয়ে উঠেছেন উর্দিধারীরা। তার রেশ টের পাওয়া গিয়েছে এদিনও। সকাল থেকে কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযান চালায় পুলিস। দুপুরে পিজি, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এন আর এস ও আর জি কর হাসপাতালের সামনে অভিযান চালান স্থানীয় থানার আধিকারিকরা। ফুটপাতের উপর ঘিঞ্জি পরিস্থিতি তৈরি করা হকারদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। হাতিবাগান অঞ্চলেও এদিন ফের অভিযান চালানো হয়। গলির ভিতরে কয়েকটি জায়গায় হানা দিয়ে জবরদখলকারীদের সরিয়ে এলাকা সাফ করে দেয় পুলিস। এছাড়া আলিপুর চিড়িয়াখানা, বেহালা ট্রাম ডিপো, সায়েন্স সিটি সহ শহরের একাধিক এলাকার ফুটপাত জুড়ে গজিয়ে ওঠা গুমটি পেলোডার ও বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে। বিধাননগর-নিউটাউনেও এদিন চলে পুলিসের অভিযান। ফুটপাতের উপর থাকা প্রায় ২০টি দোকান তুলে দেওয়া হয়েছে। পিছিয়ে নেই নিউটাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটিও (এনকেডিএ)।নিউটাউনের কোল ভবন সংলগ্ন এলাকায় প্রায় ১১টি দোকানকে সরিয়ে দিয়েছে তারা। একই চিত্র ধরা পড়েছে শিলিগুড়ি, জলপাইগুড়ি, ময়নাগুড়ি, ফালাকাটা, সিউড়ি, দুর্গাপুর, আসানসোল সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে।
গোটা পরিস্থিতির উপর এদিন নজর ছিল নবান্নের। এসব চলতে চলতেই দুপুর ৩টেয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে বসেন মমতা। সূত্রের খবর, পরিষেবা প্রদানে বিঘ্ন নিয়ে এই বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী জোর ধমক দিয়েছেন দুই শীর্ষস্তরের আমলাকে। তাঁদের অন্যত্র বদলির কথাও জানিয়েছেন। এর জেরে বৃহস্পতিবারের বৈঠক নিয়ে উদ্বেগ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রশাসনের অন্দরে। আজকের ওই বৈঠকে কলকাতা সহ আশপাশের পুর প্রতিনিধি ও পুলিস কর্তাদের সশরীরে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থাকবেন জেলাশাসক থেকে বিডিওরা। থানার আইসি ওসিদেরও হাজির হওয়ার নির্দেশ এসেছে। বৈঠকে থাকবেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী। তবে দূরের জেলার ক্ষেত্রে থাকবে ভার্চুয়াল উপস্থিতি।