কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
বুধবার বেলা ১২টায় রাজভবনে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রেখেছিলেন রাজ্যপাল। তবে শপথ বাক্য কে পাঠ করাবেন রাজভবনের পাঠানো চিঠিতে তার উল্লেখ না-থাকার প্রতিবাদ জানান বরানগর থেকে জয়ী তৃণমূল প্রার্থী সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় ও ভগবানগোলা থেকে জয়ী রেয়াত হোসেন সরকার। এদিন রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন তাঁরা। উল্টে তাঁরা জানিয়েছিলেন, রাজ্যপাল বিধানসভায় আসুন। সেইমতো এদিন দেখা যায়, বিধানসভার গাড়ি-বারান্দার সামনে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থানে বসে পড়েন সায়ন্তিকা ও রেয়াত। তাঁরা তুলে ধরেন সংবিধানের বই ও নির্বাচন কমিশনের তরফে দেওয়া জয়ের শংসাপত্র। তাঁদের প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘রাজ্যপালের জন্য অপেক্ষা করছি।’ সেখানে বিকেল ৪টে পর্যন্ত তাঁদের অবস্থান প্রতিবাদ চলে।
কিন্তু এই সময়কালের মধ্যেই দেখা যায়, বিকাল সাড়ে ৩টে নাগাদ কলকাতা বিমানবন্দর থেকে দিল্লির বিমান ধরেছেন রাজ্যপাল। তার আগে রাজভবনেই ছিলেন তিনি। রাজভবন সূত্রের খবর, বিধায়কদের শপথগ্রহণের জন্য যাবতীয় ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা না-যাওয়ায় রাজভবন ‘ক্ষুব্ধ’ বলেই শোনা যাচ্ছে। জয়ী দুই তৃণমূল সদস্যের বিরুদ্ধে রাজভবন কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারে বলেও মিলেছে ইঙ্গিত। তবে তৃণমূলের দুই সদস্যও নাছোড়বান্দা। তাঁরা স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন, কে শপথবাক্য পাঠ করাবেন, তা রাজ্যপালকে আগে স্পষ্ট করতে হবে।
শপথ না-নেওয়ার ফলে বিধায়ক হিসেবে কাজ শুরুই করতে পারছেন না তৃণমূলের জয়ী সদস্য দু’জন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি কবে হবে, তা নিয়ে আলোচনা চলেছে সর্বত্র। তৃণমূলের দুই সদস্যের অবস্থান কর্মসূচিতে হাজির হয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, অহেতুক জটিলতা না বাড়িয়ে রাজ্যপালের উচিত শপথগ্রহণের বিষয়টি বিধানসভার স্পিকারের হাতে ন্যস্ত করা। আর সায়ন্তিকা জানিয়েছেন, রাজ্যপাল যদি শপথের অনুমতি না দেন, তাহলে প্রয়োজনবোধে রাজভবনের সামনেই ধর্নায় বসতে হবে।