কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
হুগলির রঘুনাথপুর এলাকার বাসিন্দা বঙ্কিম নস্করের সঙ্গে অংশীদারিত্বে ব্যবসা ছিল রজতবাবুর। দিন কয়েক ধরে উভয়ের মধ্যে ব্যবসায়িক বিবাদ চলছিল। এর মাঝেই একদিন হঠাৎ তাঁর বাড়িতে চড়াও হন চার উর্দিধারী। নিজেদের ডানকুনি থানার পুলিস পরিচয় দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ঢোকেন তাঁরা। তাঁদের মধ্যে একজন মহিলাও ছিলেন। যিনি নিজেকে সুইটি গঙ্গোপাধ্যায় হিসেবে পরিচয় দেন। অভিযোগ, এরপর কিছু বলার সুযোগ না দিয়েই ওই ব্যবসায়ীকে তাঁরা তুলে নিয়ে যান। ডানকুনি থানার বদলে তাঁকে একটি অজ্ঞাত জায়গায় আনা হয়। সেখানে তাঁকে দিয়ে জোর করে বেশ কয়েকটি ব্ল্যাঙ্ক চেক এবং একটি সাদা স্ট্যাম্প পেপারে সই করানো হয়। শেষে ব্যবসায়ীকে আনা হয় চন্দননগর থানায়। ঘড়ির কাটায় তখন রাত ১টা। এবার থানার অফিসারের হাতে তুলে দিয়েই নিমেষে উধাও হয়ে যায় ওই চার উর্দিধারী। চন্দননগর থানা রজতবাবুর কাছ থেকে কোনও লিখিত অভিযোগ নেননি। উল্টে তাঁকে শারীরিক ও মানসিকভাবে হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ।
মঙ্গলবার মামলার শুনানিতে বঙ্কিম নস্করের আইনজীবী অভ্রতোষ মজুমদার দাবি করেন, তাঁরাই রজতবাবুকে অফিসে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। রজতবাবুর কাছে তাঁর পাওনা ছিল ৬৪ লক্ষ টাকা। সে কারণে তার কাছ থেকে তিনটি ব্যাঙ্ক চেক ও একটি খালি স্ট্যাম্প পেপারে সই করিয়ে নেওয়া হয়। অন্যদিকে, চন্দননগর থানার সিসি টিভি ফুটেজ সংরক্ষণ ও তদন্তকারী আধিকারিক বদলের দাবি জানান রজতবাবুর আইনজীবী দেবোত্তম দাস, অরুণাভ গঙ্গোপাধ্যায় ও সম্রাট বন্দ্যোপাধ্যায়। সবপক্ষের বক্তব্য শোনার পর অবশেষে ঘটনায় সিআইডির অ্যান্টি ফ্রড সেকশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা।