নিকট বন্ধু দ্বারা বিশ্বাসঘাতকতা। গুরুজনের স্বাস্থ্যহানি। মামলা-মোকদ্দমায় পরিস্থিতি নিজের অনুকূলে থাকবে। দাম্পত্য জীবনে ভুল বোঝাবুঝিতে ... বিশদ
২০১৮ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর কাকদ্বীপ ব্লকের রামকৃষ্ণ অঞ্চলের নরসিংহ আশ্রমের কাছে সেতুর একটা অংশ ভেঙে পড়েছিল। এ নিয়ে সেই সময় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। শাসক-বিরোধী দলের মধ্যে শুরু হয় চাপানউতোর। সেই বিতর্কের ইতি টানলেও, আসন্ন নির্বাচনে সেটাই আবার খুঁচিয়ে তুলতে চাইছে বিরোধীরা। কাকদ্বীপ লট ৮ থেকে অ্যাপ্রোচ রোড ধরে এই ব্রিজ দিয়ে সোজা নামখানা চলে যাওয়া যেত। অর্থাৎ এটি বাইপাসের কাজ করত। মূল রাস্তার উপর যান চলাচলের চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ নিয়েছিল সুন্দরবন উন্নয়ন দপ্তর। কিন্তু বর্তমানে পিলারের কাজ ছাড়া আর কিছু হয়নি। ভাঙা অংশের সবটাই সরিয়ে ফেলা হয়েছে। তাই সেখানে এখন যুবকদের ফুটবল খেলার মাঠে পরিণত হয়েছে।
ওই এলাকার আশপাশের বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই প্রকল্পের অর্ধেক কাজ হয়ে পড়ে রয়েছে। সেটা কি দেখতে ভালো লাগে! দুর্ঘটনার পর দু’বছর কেটে গিয়েছে। তারপরও কাজ শুরু হয়নি। ব্রিজের কাজ শেষ হয়ে গেলে এই এলাকার ভোল বদলে যেত। তাহলে কি এই বিপর্যয় ভোটে কোনও প্রভাব ফেলতে পারে? রাজু হালদার নামে এক দোকনদারের কথায়, এলাকার সার্বিক উন্নয়নে এই সেতুর কাজ শেষ হওয়া দরকার ছিল। সেক্ষেত্রে অনেকেই বিষয়টি ভালোভাবে নেননি। বাপি দাস নামে আরেক ব্যক্তির বক্তব্য, আমরা উন্নয়ন দেখতে চাই। কাকদ্বীপে অনেক কিছু হয়েছে। তবে এই সেতু বিপর্যয় একটা প্রভাব ফেলতে পারে।
বিরোধী দলগুলিও নির্বাচনের প্রচার শুরু হওয়ার আগে ইস্যুর তালিকা তৈরি করার কাজ সেরে ফেলছে। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সুব্রত গিরির বক্তব্য, সেতু বিপর্যয়কে আমাদের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার করা হবে। মানুষকে বোঝানো হবে, কাটমানির জেরে কীভাবে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছিল এখানে। যার ফলে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার যে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে সেটাই মূলত মানুষের কাছে তুলে ধরা হবে।
বিজেপির অভিযোগের পাল্টা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। প্রতাপাদিত্যনগরের উপপ্রধান দেবব্রত মাইতির বক্তব্য, এসব ভিত্তিহীন অভিযোগ। কারা উন্নয়ন করেছে মানুষ এসব জানে। আজ যাঁরা বিজেপি, তাঁরাই একসময় সিপিএম করতেন। ফলে ৩৪ বছরে কী উন্নয়ন হয়েছে আর এই সরকার কী কাজ করেছে, সবটাই স্পষ্ট। বিজেপির কাছে কোনও ইস্যু নেই বলেই এসব নিয়ে মানুষকে ভুল বোঝানোর চেষ্টা করছে।