উচ্চতর বিদ্যায় সফলতা আসবে। সরকারি ক্ষেত্রে কর্মলাভের সম্ভাবনা। প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সাফল্য আসবে। প্রেম-প্রণয়ে মানসিক অস্থিরতা ... বিশদ
কলকাতার বাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দাম বেড়েছে জেলাতেও। যা নিয়ে নাজেহাল সাধারণ মানুষ। এদিন বারুইপুর পুলিস জেলার ইবি আধিকারিকরাও বিভিন্ন বাজারে হানা দিয়েছেন। কেন এত দাম, তা নিয়ে তাঁরা কথা বলেছেন দোকানিদের সঙ্গে। তবে বেশ কিছু জায়গায় পেঁয়াজের দামে অসঙ্গতি ধরা পড়েছে। কোথাও তা বিক্রি হয়েছে ৬৫ টাকায়, কোথাও ৭০ টাকায়, আবার কোনও কোনও দোকানে ৮০ টাকাতেও। আবার বিভিন্ন পাইকারি বাজারেও ওঠানামা করেছে পেঁয়াজের দাম। মোটামুটি ৬২-৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সেখানে।
কলকাতার মানিকতলা, ফুলবাগান, কোলে মার্কেট, বৈঠকখানা বাজার, গড়িয়াহাট মার্কেট, বেহালা বাজার, খিদিরপুরের অরফ্যানগঞ্জ মার্কেট প্রভৃতি বাজারে এদিন আলু, পেঁয়াজের দর যাচাই করেছেন ইবির আধিকারিকরা। পাইকারি বাজারদর নিয়েও তাঁরা কথা বলেন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। দোকানিদের কাছে বৈধ চালান দেখতে চান। এদিন পাইকারি মূল্যের সঙ্গে প্রতি কেজিতে খুচরো বিক্রির দামের সামঞ্জস্য রয়েছে কি না, তাও দেখা হয়। ফারাকের পরিমাণ বেশি দেখলেই দোকানিদের তৎক্ষণাৎ দাম কমানোর নির্দেশ দেন তাঁরা। ব্যবসায়ীরাও তাঁদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানান আধিকারিকদের।
এদিন শহরের প্রায় সব বাজারেই জ্যোতি আলুর কেজি প্রতি দাম ছিল ৪০ টাকার আশপাশে। চন্দ্রমুখী ৪৫ টাকা ছুঁইছুঁই। দক্ষিণ কলকাতায় অভিযান চালাতে গিয়ে আধিকারিকরা দেখেন, অন্যান্য মার্কেটের তুলনায় বেহালা বাজারে আলুর দাম প্রায় দু’ টাকা বেশি। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ৪২ টাকার কমে তাঁদের পক্ষে আলু বিক্রি করা সম্ভব নয়। সরকারি আধিকারিকদের সামনেই সে কথা সাফ জানিয়ে দেন আলু ব্যবসায়ীরা। ইবির অফিসাররা বলেন, ন্যূনতম মার্জিন রেখে ক্রেতাদের আলু বিক্রি করতে হবে। সঙ্কটের সময়ে বাড়তি মুনাফা করা যাবে না। জবাবে বেহালা বাজারের এক আলু ব্যবসায়ী শঙ্কর সাউ বলেন, আমাদের অবস্থা আরও খারাপ। পাইকারি বাজারে এদিন আলু কিনতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছে ৩৭ টাকা। খরচ এবং লাভ ধরে সেই আলু ৪২ টাকার কমে বিক্রি করা সম্ভব নয়। লেক মার্কেটের ব্যবসায়ী শ্যামল সাহা জানিয়েছেন, এক বস্তা আলু কিনতে লেগেছে ১ হাজার ৮০০ টাকা। এক টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছেন ৩৮ টাকায়। আধিকারিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, মার্কেটের অধিকাংশ ব্যবসায়ী যেখানে ৪০ টাকায় জ্যোতি আলু বেচছেন, সেখানে দু’ টাকা কমে তিনি দিচ্ছেন কীভাবে? ব্যবসায়ীর জবাব, ‘অন্যরা কী করছেন জানি না। আমি ন্যূনতম লাভ রেখে বিক্রি করছি।’
উত্তর কলকাতার মানিকতলা, কোলে মার্কেট সহ বিভিন্ন বাজারে পেঁয়াজ মজুত রুখতে কড়া নজরদারি চালান আধিকারিকরা। তাঁদের নির্দেশ, কোনও পরিস্থিতিতেই পেঁয়াজ মজুত করা যাবে না। অসাধু চক্রের কার্যকলাপে রাশ টানতে পথে নেমেছে ইবি। শহরের বিভিন্ন বাজার এদিন পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭০-৯০ টাকা। জানা গিয়েছে, মূলত হিমঘরেই পেঁয়াজ মজুতের কারচুপি চলছে। বিষয়টি তদন্তকারীদের নজরে এলে পেঁয়াজের দাম আরও খানিকটা কমতে পারে। অন্যদিকে, শীতের আমেজ পড়তে না পড়তেই কাঁচা সব্জির দাম কিছুটা হলেও কমেছে। বেগুন, টমাটো, ক্যাপসিকাম, ফুলকপি প্রভৃতির দাম পড়তির দিকে।
বাজার করতে এসে হিমশিম অবস্থা ক্রেতাদের। তাঁদের কথায়, শুধু কাঁচা বাজারে হানা দিলে হবে না। তার আগে আড়তে অভিযান চালানো দরকার। আলু-পেঁয়াজের দামের ওঠানামা ওখানেই ঠিক হয়ে যায়। একইসঙ্গে খুচরো বাজারেও প্রতিদিন পুলিসি নজরদারি দরকার। তবেই কাজের কাজ হবে।