পিতার স্বাস্থ্যহানি হতে পারে। আর্থিক ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থের অভাব হবে না। পঠন পাঠনে পরিশ্রমী হলে ... বিশদ
এতদিন পর্যন্ত ভারতবাসীকে মোবাইলে পথ বা দিক নির্দেশ পাওয়ার জন্য ভরসা করতে হতো মার্কিন নেভিগেশন প্রযুক্তি ‘গ্লোবাল পজেশনিং সিস্টেম’ বা জিপিএসের উপর। এটি পৃথিবীপৃষ্ঠ থেকে ২০ হাজার কিলোমিটার উপরে প্রদক্ষিণ করতে থাকা ৩০টি কৃত্রিম উপগ্রহের একটি নেটওয়ার্ক। যার মাধ্যমে ঘরে বসে সারা বিশ্বের হদিশ মেলে। ‘জিপিএস’-এর পাল্টা প্রায় ছ’বছর ধরে আটটি স্যাটেলাইট দিয়ে ‘নেভিগেশন উইথ ইন্ডিয়ান কনস্টেলেশন (এনএভিআইসি বা নাবিক)’ তৈরি করেছে ইসরো। ইন্ডিয়ান রিজিওনাল নেভিগেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম (আইআরএনএসএস)-এর প্রথম উপগ্রহটি উৎক্ষেপণ করা হয়েছিল ২০১৩ সালের জুলাই মাসে। আটটি উপগ্রহের জন্য ব্যয় হয়েছে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সাতটি কৃত্রিম উপগ্রহ অবস্থান, দিক নির্দেশ এবং সময় নির্দেশের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আইআরএনএনএস-১এ কৃত্রিম উপগ্রহটির দায়িত্ব বার্তা প্রেরণ।
‘নাবিক’ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার খবরে খুশি ইসরো প্রধান কে সিভান। তিনি আরও বলেন, নাবিকের উপর ভিত্তি করে কাজ করছে কিছু অ্যাপ। শীঘ্রই আমজনতার সুবিধার জন্য আমরা আরও নাবিক অ্যাপ নিয়ে আসব। উল্লেখ্য, আগে থ্রিজিপিপি স্বীকৃতি পেয়েছিল আমেরিকা, ইউরোপ, রাশিয়া ও চিনের নিজস্ব স্যাটেলাইট ব্যবস্থা। গত ১৬-২০ সেপ্টেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বৈঠকে বসছিল সংস্থাটি। সেখানেই ‘নাবিক’কে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে দেশ বিদেশের ২০টি সংস্থা ভারতে যানবাহনে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে।