ব্যবসায়ে যুক্ত হলে এই মুহূর্তে খুব একটা ভালো যাবে না। প্রেম প্রণয়ে বাধা। কারও সাথে ... বিশদ
স্টুডিও থিয়েটার আসলে কী? বিষয়টাকে পরিষ্কার করলেন ‘গোবরডাঙা শিল্পায়ন’এর কর্ণধার তথা নাট্যকার-নির্দেশক আশিস চট্টোপাধ্যায়। তিনি জানালেন, ‘এই থিয়েটারের স্টুডিওতে মঞ্চসজ্জা থেকে আবহ, রূপসজ্জা থেকে আলো, প্রতিটি বিভাগের হাতে কলমে শিক্ষা দেওয়া হবে। শেখানো হবে থিয়েটারে ব্যবহৃত বিভিন্ন বাদ্যযন্ত্রের ব্যবহার এবং থিয়েটারের জন্য বিভিন্ন ডান্স ফর্ম। এখানে থাকবে উন্নত মহড়াকক্ষ, লাইব্রেরি, আর্কাইভ এবং মিউজিয়াম। শেখানো হবে প্রজেকশন রুমের নানা কর্মপদ্ধতি।’
জানা গেল, এর পাশাপাশি থাকবে নাট্য শিক্ষাকেন্দ্র। প্রতি রবিবার, ক্লাস বসবে দুটি বিভাগে। ৮ থেকে ৮০, থিয়েটার প্রেমী সব মানুষই সেখানে শিক্ষালাভ করতে পারবে।
‘একেবারে নন ফরম্যাল প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রসেনিয়াম এবং নন প্রসেনিয়াম – দু’ভাবেই শেখানো হবে,’ জানালেন আশিস চট্টোপাধ্যায়। তাঁর এই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করতে সাহায্য করেছেন গোবরডাঙ্গা পৌরসভার পৌরপ্রধান সুভাষ দত্ত। দূর দূর থেকে শিক্ষালাভ করতে আসা ছাত্রছাত্রীদের থাকার জন্য তৈরি হচ্ছে অতিথি নিবাস। আগামী ২৬ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে স্টুডিও থিয়েটার এবং নাট্য শিক্ষাকেন্দ্রের। ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে পঠনপাঠন।
‘থিয়েটার যে লোকশিক্ষা দেয়’ – রামকৃষ্ণের বাণীকেই সর্বতোভাবে সত্যি করতে চলেছেন আশিস চট্টোপাধ্যায় এবং গোবরডাঙ্গা শিল্পায়ন। এ ক্ষেত্রে তাঁকে নিঃস্বার্থ সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে গোবরডাঙ্গার অন্যান্য নাট্যদল।
অজয় মুখোপাধ্যায়