কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
অনুরাগীর অনুভূতি সম্ভবত শচীনের কান অবধি পৌঁছায়নি। তবে গোলাপি বলে টেস্ট খেলার আগে ব্যাটসম্যানদের কীভাবে অনুশীলন করা উচিত তা নিয়ে মুখ খুলেছেন তিনি। বলেছেন, ‘এই বল কীরকম তা নিয়ে স্বচ্ছ ধারণা থাকা প্রয়োজন। শুনলাম, গোধূলিতে নাকি গোলাপি বল দেখতে ব্যাটসম্যানদের অসুবিধা হচ্ছে। আমি এই ব্যাপারটিকে এভাবে দেখতে রাজি নই। এই বলের সিম কি গোধূলিতে দেখা যাচ্ছে? কারণ ওটাই আসল। ভালো ব্যাটসম্যানরা সবসময় বোলারদের কব্জি, আঙুল এবং সিমের দিকে নজর রাখে। কীভাবে বোলার বল রিলিজ করছে তা বুঝে ব্যাটসম্যানরা পায়ের মুভমেন্ট ঠিক করে। পেস বোলার হোক কিংবা স্পিনার, সিম যদি পরিষ্কার না দেখা যায় তাহলে তো সমস্যা হবেই।’
অজিঙ্কা রাহানে বলেছেন, গোলাপি বলে পেসাররা বাড়তি স্যুইং পাবেন। স্পিনারদেরও এই বলে হাত ঘোরাতে অসুবিধা হবে না। এই প্রসঙ্গ উত্থাপিত হলে শচীনের বিশ্লেষণ, ‘পেসাররা এই বলে বাড়তি স্যুইং পেতেই পারে। তবে ভারতীয় স্পিনাররা বহুদিন ধরেই এসজি বলে বল করতে অভ্যস্ত। তাই গ্রিপিংয়ের সমস্যা বিদেশি স্পিনারদের হলেও অশ্বিন-রবীন্দ্র জাদেজাদের তা হবে না। শিশির ফ্যাক্টর কতটা বোলারদের অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। গোলাপি বলে না খেললে সুবিধা কিংবা অসুবিধাগুলো খুঁজে বের করা মুশকিল।’ দিন-রাতের টেস্ট দর্শক সমাগম বাড়াবে বলে আশাবাদী হলেও শচীনের সাফ বক্তব্য, ‘সামগ্রিক মানোন্নয়ন না হলে মাঠে ভিড় হবে না। এরজন্য প্রয়োজন স্পোর্টিং পিচ। যেখানে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি বোলাররাও সমান সুবিধা পাবে। বিশ্বের অন্য জায়গায় দর্শকরা বিশেষ কয়েটি সেশন দেখার জন্য মাঠে আসেন। টেস্টের প্রথম সেশন সবসময় গুরুত্বপূর্ণ। তাই আবার বলছি, স্পোর্টিং উইকেট না হলে যে বলেই খেলা হোক না কেন মাঠে ভিড় টানা মুশকিল।’
ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে লিটল মাস্টার জানান, ‘এর মাধ্যমে টেস্ট ক্রিকেট জনপ্রিয় হবে। র্যাঙ্কিংয়ে কে কোথায় তা জানার জন্য আগ্রহ অবশ্যই বাড়বে অনুরাগীদের। কিন্তু আমার প্রশ্ন হল, কীভাবে টেস্টের মানোন্নয়ন সম্ভব? আগেও বলেছি, এখনও বলছি যে, স্পোর্টিং উইকেট তৈরি করাই এর প্রধান উপায়। এখন টেস্ট ক্রিকেটে ভারত, অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের তুলনায় বাকিরা অনেকটাই পিছিয়ে। তাছাড়া এখন বিশ্বমানের বোলারের সংখ্যাও খুব কম। কারণ সেই একই। অধিকাংশ পিচই বোলারদের বধ্যভূমি। শুধু এবারের অ্যাসেজে দেখলাম, ইংল্যান্ড স্পোর্টিং পিচ তৈরি করেছে। তাই খেলাও আকর্ষণীয় হয়েছে।’