কর্মপ্রার্থীদের নতুন কর্ম সংস্থানের সুযোগ আছে। সরকারি বা আধাসরকারি ক্ষেত্রে কর্ম পাওয়ার সুযোগ আছে। ব্যর্থ ... বিশদ
ইন্দোর, ১৪ নভেম্বর: পুরানো বলে মহম্মদ সামি কতটা ভয়ঙ্কর সেটা হাড়ে হাড়ে টের পেলেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। ১৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে পাঁচটি মেডেন সহ ২৭ রান দিয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন বাংলা দলের পেসারটি। হ্যাটট্রিকের সুযোগও এসেছিল সামির সামনে। কিন্তু চা পানের বিরতির ঠিক আগের ওভারে পঞ্চম ডেলিভারিতে মুশফিকুর রহিমের স্টাম্প ছিটকে দেন তিনি। বাংলাদেশের তারকা ব্যাটসম্যানটি সামির স্যুইংয়ে পুরোপুরি পরাস্ত হন। কোহলি বুঝে গিয়েছিলেন, রক্তের স্বাদ পেয়ে গিয়েছে তাঁর তুরুপের তাস। তাই দর্শকদের তিনি আবেদন জানান, ‘সামি সামি শব্দব্রহ্ম’ তৈরি করার জন্য। উদ্বেলিত হয়ে ওঠে গ্যালারি। ওভারের অন্তিম ডেলিভারিতে মেহেদি হাসান লেগ বিফোর হতেই হ্যাটট্রিকের সুযোগ এসে যায় তাঁর সামনে। কিন্তু চা পানের বিরতির ফলেই ফোকাস নড়ে যায় সামির। সেটা খেলা শেষে তিনি স্বীকারও করেছেন। শুধু সামি নন, ভারতীয় বোলিংয়ের দাপটে মাত্র ১৫০ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। এটাই হয়তো প্রত্যাশিত ছিল।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিনের শেষে ভারত ১ উইকেট হারিয়ে ৮৬ রান তুলেছে। ওপেনার মায়াঙ্ক আগরওয়াল ৩৭ ও চেতেশ্বর পূজারা ৪৩ রানে ক্রিজে আছেন। তবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে রহিত শর্মার দুরন্ত ফর্ম কিছুটা হলেও ফিকে হয়েছে। না হলে বাইরের বলে ব্যাট চালিয়ে তিনি কখনওই ৬ রানে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরার মতো ভুল করতেন না।
লিড নিতে কোহলি বাহিনীর দরকার আর মাত্র ৬৫ রান। ম্যাচ যেদিকে গড়াচ্ছে, তাতে প্রথম ইনিংসে বড় স্কোর করা উচিত ভারতের। সেক্ষেত্রে আরও চাপে পড়ে যাবে বাংলাদেশ। ইনিংসে ম্যাচ জেতার সুযোগও তৈরি হবে কোহলিদের সামনে।
টসে জিতে বাংলাদেশ প্রথমে ব্যাট করতে নামে। কিন্তু ৩১ রানে মধ্যে পর পর তিনটি উইকেট হারিয়ে শুরুতেই বেশ চাপে পড়ে যায় টাইগার্সরা। ভারতকে প্রথম সাফল্যটি এনে দেন উমেশ যাদব। ৬ রানে ইমরুল কায়েস ধরা পড়েন রাহানের হাতে। আর এক ওপেনার শাদমান ইসলামও দ্রুত মাঠ ছাড়েন ইশান্তের বলে কট বিহাইন্ড হয়ে। মহম্মদ মিঠুনকে (১৩) আউট করে খাতা খোলেন সামি। চতুর্থ উইকেটে কিছুটা লড়াই করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক মমিনুল হক ও মুশফিকুর রহিম। তাঁরা যোগ করেন ৬৮ রান। লাঞ্চের পর স্পিনের ভেলকি দেখাতে শুরু করে রবিচন্দ্রন অশ্বিন। বাংলাদেশের শেষ দুর্গে ফাটল ধরান অশ্বিন। তিনি ফেরান মমিনুল হককে (৩৭)। কিছুক্ষণের মধ্যেই মাহমুদুল্লাহকে বোল্ড করে অশ্বিন প্রতিপক্ষকে আরও চাপে ফেলে দেন। এই অবস্থায় মুশফিকুর রহিম কিছুটা লড়াই চালান। কিন্তু সামির আগুনে পেসের সামনে তাঁর যাবতীয় প্রতিরোধ খড়কুটোর মতো উড়ে যায়। মুশফিকুর ৪৩ রানে আউট হওয়ার পরেই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। সামির তৃতীয় শিকার মেহেদি হাসান (০)। তার আগে ইশান্ত শর্মা দ্বিতীয় শিকার তুলে নেন লিটন দাসকে (২১) ফিরিয়ে। একটা সময় বাংলাদেশের রান ছিল ৫ উইকেটে ১৪০। কিন্তু ১০ রানের মধ্যেই তাদের বাকি পাঁচটি উইকেটের পতন ঘটে। এবাদত হুসেনকে আউট করে বাংলাদেশের কফিনে শেষ পেরেকটি পোঁতেন উমেশ। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ থেকে যিনি যশপ্রীত বুমরাহর অভাব অনেকটাই ঢেকে দিতে সফল হয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর: প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ১৫০/১০ (মুশফিকুর ৪৩, মমিনুল ৩৭, লিটন ২১, সামি ২৭/৩, ইশান্ত ২০/২, উমেশ ৪৭/২, অশ্বিন ৪৩/২)।
ভারত-৮৬/১ (মায়াঙ্ক ব্যাটিং ৩৭, রহিত ৬, পূজারা ব্যাটিং ৪৩, জায়েদ ২১/১)।