কর্মে কিছুটা শুভ। খেলাধূলায় বিশেষ নৈপুণ্য প্রদর্শন। মানসিক দিকটি বিক্ষিপ্ত থাকবে। ... বিশদ
এব্যাপারে বিষ্ণুপুর পুরসভার চেয়ারম্যান গৌতম গোস্বামী বলেন, লালবাঁধে অবৈধভাবে বসা দোকানগুলিকে যাতে বিকল্প জায়গায় বসানো যায়, সে ব্যাপারে চিন্তাভাবনা চলছে। এনিয়ে জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করা হয়েছে। স্থানীয় এক দোকানদার বাচ্চু কাপড়ি বলেন, রাস্তার ধারে ফাঁকা জায়গায় আমরা অস্থায়ীভাবে দোকান খাটিয়ে বসেছি। পুরসভা কর্তৃপক্ষ আমাদের সরে যেতে বলেছে। সেই মতো এদিন আমরা দোকান খুলিনি। শুনেছি মুখ্যমন্ত্রী হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলেছেন। তাতে আমরা কিছুটা ভরসা পেয়েছি। পুরসভা কর্তৃপক্ষও পুনর্বাসনের আশ্বাস দিয়েছে। প্রসঙ্গত, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই রাজ্যের প্রায় সমস্ত পুরসভা জবরদখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। বিষ্ণুপুরেও একই উদ্যোগ নেওয়া হয়। আগে লালবাঁধ এলাকাটি কার্যত পরিত্যক্ত ছিল। দিনের বেলাতেও মানুষজন যেতে ভয় পেতেন। কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে লালবাঁধ সংস্কার ও বাঁধের পাড় সৌন্দর্যায়ন করা হয়। পাড়ে পাকা রাস্তাও করা হয়। পুরসভার পক্ষ থেকে তিনটি খাবারের স্টল করে দেওয়া হয়। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর সদস্যরা তা চালান। তারপর থেকেই বাঁধের পাড়ে মানুষজনের যাতায়াত বাড়ে। পর্যটকরা ভিড় জমান। ধীরে ধীরে জবরদখলও বাড়তে থাকে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০টি অবৈধ দোকান বসানো হয়েছে। আরও কয়েকটি দোকান খাটানোর কাজ চলছে। এই অবস্থায় বাঁধের পাড়ে অযথা আড্ডা ক্রমশ বাড়তে থাকায় রাতের দিকে অসামাজিক কাজকর্মের অভিযোগ আসছে। এরপরেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবৈধ দোকানগুলিকে একবছর আগেই উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনও কারণে তা কার্যকর করা হয়নি। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই পুরসভা কর্তৃপক্ষ নড়েচড়ে বসে। বুধবার দোকানদারদের উঠে যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী হকারদের পুনর্বাসন দেওয়ার কথা বলায় দোকানদাররা ভরসা পেয়েছেন। পুরসভা কর্তৃপক্ষও তাঁদেরকে বিকল্প জায়গায় বসানোর কথা বলেছেন।