হঠাৎ জেদ বা রাগের বশে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়া শ্রেয়। প্রেম-প্রীতির যোগ বর্তমান। প্রীতির বন্ধন ... বিশদ
পঞ্চায়েত সূত্রে জানা গিয়েছে, ভবানীপুর গ্রামের দক্ষিণপাড়ার একটি রাস্তার কিছুটা অংশ দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। জানা গিয়েছে, মালেক শেখের বাড়ি থেকে সামসুদ্দিন শেখের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তা বর্তমানে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল ৮০ মিটার রাস্তাটি সারাইয়ের দাবি জানিয়ে আসছেন গ্রামবাসীরা। সম্প্রতি সেই রাস্তা ঢালাইয়ের জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা বরাদ্দ করা হয়। কিন্তু, ঠিকাদার রাস্তা পরিদর্শনের পর জানিয়ে দেয় বরাদ্দ অর্থে পুরো রাস্তা ঢালাই করা যাবে না। ৫৬ মিটার রাস্তা করা যাবে। সেইমতো এদিন রাস্তা ঢালাইয়ের আগে পাথরের গুঁড়ো ফেলা শুরু করে ঠিকাদার সংস্থা। যদিও বঞ্চিত বড় মসজিদপাড়ার মানুষেরা রাস্তার পুরোটাই ঢালাই করার দাবিতে সরব হন। তাঁরা ঠিকাদার সংস্থার কর্মীদের ঘিরে অভিযোগ জানাতে থাকেন। বাধ্য হয়ে ফিরে আসেন কর্মীরা। এরপরই দুপুর ২টো নাগাদ বঞ্চিত এলাকার প্রায় শ’দেড়েক বাসিন্দা পঞ্চায়েত প্রধানের কাছে আসে। প্রধানকে না পেয়ে তারা অফিসে তাণ্ডব শুরু করে বলে অভিযোগ। প্রধানের অফিসের বাইরে থাকা দু’টি বেঞ্চ তারা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। পরে মিটিং হলে ঢুকে প্লাস্টিকের চেয়ার-টেবিল ভাঙতে শুরু করে। ভয়ে সিঁটিয়ে যান কর্মীরা। প্রাণভয়ে পঞ্চায়েত ভবন ছেড়ে দৌড়ে পালাতে শুরু করেন পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষ। অফিসের টেবিল ও আলমারি উল্টে দিয়ে কাগজপত্র তছনছ করে উত্তেজিত মানুষজন। আশেপাশের বাসিন্দারাও ভয়ে দরজা-জানালা বন্ধ করে দেন। পরে খবর পেয়ে বিশাল পুলিসবাহিনী এলে তাণ্ডবকারীরা পালিয়ে যায়।
যদিও দক্ষিণপাড়ার বাসিন্দারা বলেন, এই রাস্তা দিয়ে বহু মানুষ মসজিদে আসা-যাওয়া করেন। মাঝের কিছুটা অংশ বাদ দিয়ে রাস্তা এদিক-ওদিক পুরোটাই ঢালাই। বাকি অংশে যদিওবা ঢালাইয়ের কাজ শুরু হল, তাতেও কিছুটা অংশ বাদ রাখা হচ্ছে। এটাই আমাদের প্রতিবাদ। আমরা চাই পুরো ৮০ মিটার রাস্তাই ঢালাই দেওয়া হোক।
এদিকে প্রধান দিলীপ দাস বলেন, ঘটনার সময় আমি অন্য একটি কাজে বাইরে ছিলাম। হামলার খবর পেয়ে পঞ্চায়েতে ফিরে আসি। রাস্তার কিছুটা অংশ ঢালাই হওয়া থেকে যে বাদ পড়ছে সেব্যাপারে গ্রামবাসীরা কোনওদিন আমাকে অভিযোগ জানায়নি। যদি জানাত তাহলে আমরা সেইমতো ব্যবস্থা নিতাম। কিছু মানুষ আচমকা পঞ্চায়েতে ঢুকে হামলা ও ভাঙচুর চালাল। আমরা পুলিসের কাছে অভিযোগ জানিয়েছি।